জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, (জাবি): নিয়ম অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ২১ নম্বর হলে গণরুম বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে জানেন না প্রভোস্ট মো. তাজউদ্দীন সিকদার।
রোববার (২১ মে) সরেজমিনে হলের ৪২২ ও ৪২৩ নম্বর কক্ষ ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
জাবির নিয়মানুযায়ী ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু কক্ষ দুটিতে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সবাই ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের। এছাড়াও প্রতিটি কক্ষে চারজনের জন্য আসন থাকার কথা। কিন্তু আছেন ১৪ জন করে মোট ২৮ জন।
হলে থাকা বেড সরিয়ে মেঝেতে শয্যা তৈরি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ৪২২ ও ৪২৩ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চায় বাংলানিউজ। তারা কথাও বলেন। কিন্তু নিজের নাম-পরিচয় গোপন রাখেন। শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র (২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের) ভাইয়েরা তাদের কক্ষ দুটিতে উঠিয়েছেন। এর বাইরে তারা আর কিছু বলতে রাজি হননি।
একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, হলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়েদ আশিকের নির্দেশে গণরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আশিক। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
২১ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ মো. তাজউদ্দীন সিকদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এরকম কিছুই আমার জানা ছিল না। আমি এইমাত্র জানতে পারলাম। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের যদি কেউ থাকে তাহলে তাদের স্ব স্ব হল প্রভোস্টের সাথে কথা বলে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাকে কোনোভাবেই পাওয় যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
এমজে