ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘দেশের উন্নয়নে নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
‘দেশের উন্নয়নে নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই’

জামালপুর: দেশের উন্নয়নে নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীতে বিজ্ঞানমনষ্ক ও মানবিক মানুষ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বহু প্রাচীন। মানবজাতির উন্নয়নে এর ভূমিকাও ব্যাপক। এরই ধারাবাহিকতায় দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজ নিজ জায়গা থেকে আমাদেরও অংশ নিতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্যই নতুন নতুন গবেষণা ও কর্মকৌশল উদ্ভাবন করতে হবে। ’

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত তিনদিনের জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের প্রখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তিবিদ প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য রোবোটিক্স ও ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি), আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), ডিজিটিাল সিকিউরিটি, বিগ ডেটা, ব্লকচেইনসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম যুগোপযোগী করতে হবে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হবে, উদ্ভাবন বাড়াতে হবে। ’ 

ডিজিটাইজেশন, উদ্ভাবন ও গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে আধুনিক এসব প্রযুক্তি যুক্ত করা গেলে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে এবং বিদেশে এসব জনশক্তি রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। ’

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে একটি দক্ষ ও আত্মনির্ভর জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব দেন তিনি।  

কনফারেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুল আলম খান সভাপতিত্ব করেন।  

তিনি বলেন, ‘আশা করি, এ কনফারেন্স শিক্ষার্থীদের জানার এবং বোঝার শক্তিকে বাড়িয়ে দেবে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ভবিষ্যতে এ ধরনের সেমিনার-কনফারেন্স আয়োজন অব্যাহত থাকবে। ’   
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন রোবটিক্স অ্যান্ড আইওটি’ শীর্ষক কনফারেন্সে সিএসই বিভাগের বিভিন্ন টিম ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি দল অংশ নেয়। দলগুলো তাদের নিজেদের তৈরি রোবটসহ বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শন করে। পাশাপাশি বিভিন্ন পোস্টারও প্রদর্শন করা হয়।

গত ১৩ নভেম্বর শুরু হওয়া কনফারেন্সে প্রথম দু’দিন অর্থাৎ ১৩ ও ১৪ নভেম্বর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার প্রথমপর্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রথমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম আহমেদ দেওয়ান। পরের পর্বে ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন।

কনফারেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মাননান ও রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আর ব্র্যাক নেট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. মোকাররম হোসাইনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সল্যুশন ম্যানেজার (প্রি-সেল অ্যান্ড পার্টনার ম্যানেজমেন্ট) সাব্বির হোসেন বক্তব্য দেন। কনফারেন্সের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির।

কনফারেন্সের টাইটেল স্পন্সর ছিল দেশের সবচেয়ে গতিশীল ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক নেট লিমিটেড। আর সাপোর্ট পার্টনার ছিল বাংলাদেশের স্বনামধন্য আইটি ডিসট্রিবিউটর কোম্পানি গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড ও সফটওয়্যার শেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।