ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবিতে উদ্ভাবনী মেলা শুরু ৪ মার্চ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
ঢাবিতে উদ্ভাবনী মেলা শুরু ৪ মার্চ

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদ, ইনস্টিটিউট, বিভাগ, হল ও অফিসের অংশগ্রহণে আগামী ৪ মার্চ উদ্ভাবনী মেলা আয়োজিত হবে।  

নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো দিনব্যাপী মেলাটির আয়োজন করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ বিষয়ে একটি সমন্বয় সভা আয়োজিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে যেকোনো সমস্যা যা আগে হয়নি এমন কোনো সমাধান থাকলে তা উদ্ভাবনী মেলায় উপস্থাপন করবে। এটা পোস্টারের মাধ্যমেও হতে পারে, বিভিন্ন উপাদান দিয়ে প্রাথমিক রূপ প্রদর্শনের মাধ্যমেও হতে পারে। এগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করব। প্রদর্শিত কোনো নমুনা দেখে যদি মনে হয়, তা নিয়ে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে, তাহলে সে আইডিয়া নিয়ে আমরা সামনে অগ্রসর হবো।  

তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের কোনো পণ্য থাকলে তা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিজ থেকে ছোট ছোট কোম্পানি করতে পারে। এগুলো দেখে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হবে। মুখস্থ করে নিজের ব্রেইনকে ক্ষতিগ্রস্ত করা থেকে বের হয়ে নতুন কিছু সৃষ্টির অনুপ্রেরণা পাবে। দেখা যাবে, ছাত্রজীবন শেষ করেই এরা ছোট ছোট উদ্যোক্তা হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে এর মধ্য থেকেই বড় উদ্যোক্তা তৈরি হবে।  

তিনি বলেন, আমাদের উদ্ভাবনী মেলার লক্ষ্য হলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতা বাড়ানো। দ্বিতীয়ত বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু একটি জ্ঞান ও গবেষণার কেন্দ্র, তাই পণ্য উদ্ভাবন হোক বা সেবা উদ্ভাবন, বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আমরা তাদের আইডিয়াটা দিতে চাই। আমরা এটি বিক্রিও করতে পারি, এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজও করতে পারি। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের সুযোগ রয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ধরনের উদ্ভাবনী কাজগুলো করতে চাই।  

তিনি আরও বলেন, কোনো একটি 'ধারণা' সৃষ্টি করা; পরে কীভাবে তাকে কর্মতৎপরতায় রূপান্তর করা যায়; সে কাজকে প্রক্রিয়াজাত করে কীভাবে পণ্যে রূপান্তর করা যায়; বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কীভাবে তা প্রচার করা যায়। এই কাজগুলো আমাদের অনুপস্থিত ছিল। আমরা তা শুরু করতে চাই।  

এটি শুধু বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং যেকোনো ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা নতুন আইডিয়া নিয়ে অগ্রসর হতে পারে। সে আইডিয়াটা বাস্তবায়ন বা তা থেকে পণ্য উৎপাদন হয়ত তার পক্ষে সম্ভব নয়; অন্য কোনো পক্ষের সম্ভব। বিভিন্ন পক্ষের এই মাল্টিডিসিপ্লিনারি কার্যক্রম আমাদের এখানে নেই। এটিও আমরা শুরু করতে চাই।  

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় 'উদ্ভাবনী উদ্যোগ প্রদর্শনী' সংক্রান্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন টিমের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।