ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

চারজন নিয়ে শুরু, এখন শিক্ষার্থী ৪০০- এর বেশি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
চারজন নিয়ে শুরু, এখন শিক্ষার্থী ৪০০- এর বেশি

ঢাকা: দেশের প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধী। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে পেছনে রেখে একটা দেশ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না।

মানবতার স্বার্থে বসুন্ধরা গ্রুপ দারিদ্র্যে জর্জরিত অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্নসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য সম্পূর্ণ বিনা খরচে বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের ডিরেক্টর ইয়াশা সোবহান ২০১৭ সালের ১ মার্চ ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্টে প্রতিষ্ঠা করেন বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন।  

প্রথমে মাত্র চারজন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা হয়েছিল; এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪০০- এর বেশি। এখানে বিশেষ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিশেষ শিক্ষায় পারদর্শী শিক্ষকমণ্ডলী, মনোবিজ্ঞানী, থেরাপি বিশেষজ্ঞ ও কর্মী রয়েছেন।

বিশেষ শিক্ষা কারিকুলামে এগিয়ে নেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য রয়েছে ইনডোর ও আউটডোর গেমস, নৃত্য ক্লাস, সংগীত ক্লাস এবং চিত্রাঙ্কন ক্লাস। তা ছাড়া বিনোদনের জন্য রয়েছে পার্ক। প্রতিদিনের কার্যক্রম সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে অ্যাসেম্বলির মাধ্যমে শুরু হয় এবং দুপুর ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা স্কুলে রুটিন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকে।  

স্কুল শেষে বাড়ি গিয়ে তারা কী কী কাজ করবে তা ছবিসহ রুটিন করে প্রত্যেকের বাসায় দেওয়া হয়েছে; যাতে তারা রুটিনের ছবি দেখে সে অনুযায়ী কাজ করতে পারে। প্রতিদিনের বাড়ির কাজ দেওয়া হয় এবং প্রয়োজনে ভিডিও করেও বাড়ির কাজ জমা দিতে হয়। ফলে পদ্ধতি ঠিক হচ্ছে কি না যাচাই করা যায়। এসব কাজ পরিচালনার জন্য শিক্ষক, মনোবিজ্ঞানী, থেরাপি বিশেষজ্ঞ, শ্রেণিসহকারী, অন্যান্য মিলিয়ে ৭০ জনের বেশি লোক কর্মরত আছেন। যেসব শিক্ষার্থী প্রাইমারি শাখায় রয়েছে তাদের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আওতায় বছরের শুরুতে সিলেবাস দেওয়া হয়। বছরে দুবার মূল্যায়নের মাধ্যমে তার ফলাফল দেওয়া হয়। ভোকেশনাল ক্লাসে শেখানো হয় বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ, সেলাই কাজ, সেলাই মেশিনের কাজ, পুঁতির কাজ ও কুটিরশিল্পের কাজ। সব শিক্ষার্থীর জন্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হয়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ শেষে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে ভোকেশনাল ক্লাস থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে এখানেই তিনজন শিক্ষার্থী চাকরিরত আছেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ স্কুল থেকে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্কুলে আসা এবং যাওয়ার জন্য রয়েছে দুটি স্কুলবাস। যেসব শিক্ষার্থীর বাসাবাড়িতে বা স্কুলে ফিজিওথেরাপি অ্যাসিস্টিভ ডিভাইস প্রয়োজন হয়, তাদের সেগুলো সরবরাহ করা হয়।  

করোনা মহামারি থেকে শুরু করে যে কোনো বিপদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তায় এগিয়ে আসে এ প্রতিষ্ঠান। উৎসব-আনন্দও সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।