ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন রাকিন নাওয়ার। এরপরই রাকিনকে নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের কৃতী শিক্ষার্থী বলে মিথ্যা প্রচারণা চালানোর অভিযোগ ওঠে ইউনিভার্সিটি কোচিং সেন্টারের (ইউসিসি) বিরুদ্ধে।
প্রথম স্থান অধিকারকারী শিক্ষার্থী তার সাফল্যের পিছনে ইউসিসির কোনো ধরনের অবদান নেই বলে দাবি করেছেন। আবার ইউসিসিও চারুকলার জন্য কোনো ধরনের কোচিং করায় না। তবুও কেন এ মিথ্যা প্রচারণা? দীর্ঘদিন ইউসিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অন্য কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের নিজেদের বলে ভুয়া প্রচারণা চালানোর।
জানা যায়, এ বছর চারুকলায় ১৭২.৭৫ মেধা স্কোর নিয়ে প্রথম স্থান লাভ করেন পাবনা গভর্নমেন্ট এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র রাকিন নাওয়ার। এরপরই রাকিনকে নিয়ে মিথ্যা বিজ্ঞাপনে মাতে ইউসিসি। ১০ অক্টোবর ইউসিসির ফেসবুক পেজে লেখা হয়, ‘এ বছর ঢাবি ‘চ’ ইউনিটে ১ম মেধাস্থান অর্জন করেছেন ucc এর ফার্মগেট শাখার কৃতী ছাত্র মো. রাকিন নাওয়ার। প্রাক্তন কলেজ: গভর্নমেন্ট এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা। রাকিন নাওয়ারকে ucc এর পক্ষ থেকে উষ্ণ অভিনন্দন। '
এই পোস্টটি নজরে এলে ক্ষুব্ধ হন রাকিন। নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি ইউসিসির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি লেখেন, আমার ঢাবি ‘চ’ ইউনিটে প্রথম হওয়ার পিছনে ইউসিসি কোচিং এর কোনো অবদান নেই, আমার বাসা থেকে সেখানে ভর্তি করা হলেও সেখানে আমি ২-৩ দিনের বেশি ক্লাস করিনি। আমি চারুকলার জন্য আলাদাভাবে কোচিং করেছি নিয়মিত। আমার এই সাফল্যের জন্য সবটুকু অবদান আমার মা, বাবা, ও ষড়ঙ্গ পরিবার এর চারুকলার ২৩ ব্যাচের ভাই ও আপুদের। যারা এই কর্মশালা পরিচালনা করেছেন। ইউসিসি চারুকলা ভর্তি বিষয়ক কোনো কোচিং করায় বলে আমার জানা নেই। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিন নাওয়ার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমি সেখানে ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে নিয়মিত ছিলাম না। ইচ্ছা ছিল চারুকলায় পড়বো। ইউসিসি উল্লেখ করেনি এই ছাত্র ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি হয়েছে কিন্তু চারুকলায় ফার্স্ট হয়েছে। কিন্তু তারা সেসব উল্লেখ না করে ‘চ’ ইউনিটে প্রথম হয়েছে লিখেছে। তারা তো ‘চ’ ইউনিটে কোনো কোচিং করায় না। তারা আমাকে কোনো ড্রইয়িং শেখায়নি। এখন সবাই মনে করবে ইউসিসিতে কোচিং করে চারুকলায় চান্স হয়েছে আমার। পরবর্তীতে অনেকে ভর্তি হতে আসবে।
নাকিন নাওয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত ষড়ঙ্গ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখানকার প্রশিক্ষক সৈকত চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের টিমের প্রশিক্ষণের ফলে প্রথম স্থান করায় অন্য রকম ভালোলাগা কাজ করছে। আমরা তার সাফল্য কামনা করছি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসিসি কোচিং সেন্টারের পরিচালক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, সে আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছিল এজন্য আমরা ফেসবুকে দিয়েছি। তাকে কোনো ধরনের গিফট দেইনি। এটা দোষের কিছু নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
এসকেবি/এএ