ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কুয়েটে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
কুয়েটে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু বক্তব্য রাখছেন কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।

খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তিন দিনব্যাপী ষষ্ঠ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিইএসডি ২০২২) শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় কনফারেন্সটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।



অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার করেছে তা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল জ্ঞানের বিকাশ ছাড়া অসম্ভব। প্রকৌশল শিক্ষার বিকাশ, মাননিয়ন্ত্রণ, উচ্চতর প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে কুয়েট দেশ ও দেশের বাইরে স্বনামধন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম হিসেবে নিজের স্থান করে নিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিক ব্যবহার ঘটিয়ে কুয়েট একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজ গর্ব অক্ষুণ্ন রেখে সমৃদ্ধ জাতি গঠনে বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড. এম ফিরোজ আহমেদ।

কনফারেন্সে স্বাগত বক্তব্য দেন কনফারেন্স চেয়ার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহজাহান আলী ও কনফারেন্সের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি প্রফেসর ড. কাজী এবিএম মহিউদ্দিন।

সম্মেলনে অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে ‘আইসিসিইএসডি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  

বক্তারা আরও বলেন, কনফারেন্সের মাধ্যমে উঠে আসা প্রযুক্তি ও বিষয়গুলো কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব উপকৃত হবে। তাই এ ধরনের কনফারেন্সের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কি-নোট সেশনে স্পিকার ছিলেন (অনলাইনে যুক্ত থেকে) গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রোজেক্টর (বিআরটি লাইন-৩) প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার/টিম লিডার ড. মো. মাহাবুবুল বারী এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির ট্রান্সপোর্ট রিসার্চ সেন্টার স্কুল অব সিভিল অ্যান্ড ইনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রখ্যাত প্রফেসর বুদ্ধিমা ইনদ্রারাতনা।

সম্মেলনে মোট পাঁচটি কি-নোট সেশন এবং ৩২টি টেকনিক্যাল সেশনে দেশ-বিদেশের গবেষকদের মোট ২৫১টি টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপিত হবে এবং সেরা ১০টি পেপারকে পুরস্কৃত করা হবে।

সম্মেলনে প্রায় ৩শ’ প্রথিতযশা গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদরাসহ অন্যরা অংশ নিয়েছেন।

এর আগে, কুয়েটে ২০১২ সালে প্রথম, ২০১৪ সালে দ্বিতীয়, ২০১৬ সালে তৃতীয়, ২০১৮ সালে চতুর্থ এবং ২০২০ সালে পঞ্চম ‘আইসিসিইএসডি’ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
এমআরএম/এএটি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।