ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটকেন্দ্র সরেজমিন যাচাইয়ে ডিসিদের নির্দেশ ইসির

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
ভোটকেন্দ্র সরেজমিন যাচাইয়ে ডিসিদের নির্দেশ ইসির

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রগুলো সরেজমিনে যাচাই করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

ইসির বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, যাচাই শেষে প্রতিবেদন পাঠাতে আগামী পাঁচদিন সময় বেঁধে দিয়েছে মিশন। নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ আগস্ট খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তিপূর্বক ১৭ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসাররা ১৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত করা সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহ “জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা” অনুসারে সরেজমিনে যাচাই বাছাই করবেন।

নীতিমালা অনুসরণে কোনো পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা সংশোধনের প্রয়োজন হলে, তা সম্পন্ন করে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করবেন। সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী, পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ২ (দুই) প্রস্থ হার্ডকপি বাহকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।

এক্ষেত্রে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। এতে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করতে নির্বাচনী এলাকার নাম ও নম্বর ঠিক আছে কি না, উপজেলা বা থানার নাম সঠিক আছে কি না, ভোটকেন্দ্রের নম্বর, সিরিয়াল নম্বর ঠিক আছে কি না, ভোটারের সংখ্যা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ আছে কি না, যোগফল ঠিক আছে কি না, পুরুষ কক্ষের জন্য ৫০০ ও মহিলা কক্ষের জন্য ৪০০ জন হিসাবে ভোটকক্ষের প্রস্তাব করা হয়েছে কি না, অস্থায়ী কেন্দ্র ও অস্থায়ী কক্ষের বিষয়ে ব্যাখ্যা আছে কি না এবং অস্থায়ী কক্ষের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঘরে অস্থায়ী লিখিত আছে কি না, ভোটারের সংখ্যার সঙ্গে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা নীতিমালা অনুযায়ী আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত যেসব ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যে সকল ভোটকেন্দ্র নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে তার আসনভিত্তিক সারসংক্ষেপও পাঠাতে বলা হয়েছে ডিসিদের। এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের প্রস্তাব করা হয়েছে মর্মে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রত্যয়নও দিতে বলেছে ইসি।

দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১০৩টি নির্ধারণ করা হয়েছিল। ডিসিরা সরেজমিন যাচাই করে প্রতিবেদন পাঠালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।  

রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।