ঢাকা: ভোটার এলাকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অনিয়ম রোধে ব্যক্তির ফেস ভেরিফিকেশনের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। এছাড়া ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ফি আরোপের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এম. মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত ভোটার স্থানান্তর ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সহজীকরণ কমিটি এই সুপারিশ করেছে। কমিটি প্রধান ইতিমধ্যে ইসি সচিবকে সুপারিশগুলো লিখিত আকারে জমাও দিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, ভোটার স্থানান্তরের জন্য ফি আরোপ করা যেতে পারে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন/হারানো কার্ড উত্তোলনের মতো প্রতিবার ফি আরোপ করা যেতে পারে। এতে করে বারবার স্থানান্তরের হার/প্রবণতা কমে আসবে। এছাড়াও একজন ভোটার সর্বমোট কতবার স্থানান্তর করতে পারবে এবং নির্বাচনকালীন স্থানান্তর করতে পারবে কি না, তা বিধির আওতায় আনা প্রয়োজন।
অন্যদিকে নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে বিরত রাখতে বা নিজস্ব ভোট ব্যাংক বাড়াতে দুষ্কৃতকারীরা সম্ভাব্য প্রার্থী/ভোটারের অজান্তে মাইগ্রেশন আবেদন দাখিল করে থাকে। ব্যক্তির অজান্তে যেন ভোটার স্থানান্তর না করতে পারে সেজন্য বর্তমানে আবেদনকারীকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন দাখিল করতে হয়।
এ ছাড়া স্থানান্তর প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য সশরীরে আবেদনের পাশাপাশি অনলাইনে আবেদন দাখিল করার সিস্টেম চালু করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে অনলাইনে ব্যক্তির লাইভ ফেস ভেরিফিকেশন এবং ব্যক্তির আংগুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধিত সিম (যা এনআইডি ডাটাবেজে থাকবে) এর সমন্বয়ে ম্যাচিং এর মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করে আবেদন দাখিল করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এর আগে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনও ভোটার এলাকা পরিবর্তনে কিছু বিধি নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে তারা সেগুলো বাস্তবায়নের আগেই পদত্যাগ করে গত ৫ সেপ্টেম্বর চলে যান।
ভোটার হতে তিন ধরনের ঠিকানা দিতে হয়। একটি হচ্ছে ব্যক্তি ভোটার হতে ইচ্ছুক যে এলাকা, আরেকটি বর্তমান ঠিকনা, অন্যটি হচ্ছে স্থায়ী ঠিকানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
ইইউডি/এমজেএফ