ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

জিসিসিতে সিপিবি মেয়রপ্রার্থীর ৯ দফা ইশতেহার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৮
জিসিসিতে সিপিবি মেয়রপ্রার্থীর ৯ দফা ইশতেহার ইশতেহার ঘোষণা করছেনন মো. রুহুল আমিন/ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: যানজট, জলজট মুক্ত করে একটি পরিকল্পিত নগর গড়তে চান বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মেয়র প্রার্থী মো. রুহুল আমিন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯ দফা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে শুক্রবার (৪ মে) শহরের রাজবাড়ী রোডে গাজীপুর জেলা কমিটি কার্যালয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। 

মেয়র প্রার্থী মো. রুহুল আমিন বলেন, যথার্থ পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের অভাবে শহরটি যানজট, জলাবদ্ধতাসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে অচল শহরে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বাস্তবায়নে সবার জন্য বাসযোগ্য, উন্নত, মানবিক সিটি গড়তে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

তার ৯ দফা ইশতেহার হলো- 
১. যানজট নিরসনে রেলপথ ও সড়কপথ প্রশস্তকরণ, মহাসড়কে রিকশা লেন, সিটি বাস চালু তথা গাজীপুর থেকে ঢাকা জটমুক্ত বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করা হবে।
২. রাস্তা পারাপারের সব স্থানে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ।  
৩. শ্রমিকদের খাসজমি বরাদ্দ দিয়ে স্বল্পমূল্যে বহুতল ভবন নির্মাণ, কারখানাভিত্তিক রেশনিং পদ্ধতি চালু, শিল্পাঞ্চলভিত্তিক সরকারি হাসপাতাল স্থাপন, সব ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করা।  
৪. শিল্পাঞ্চলভিত্তিক বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন।  
৫. রিসাইক্লিং করে ময়লাকে সম্পদে রূপান্তর করা হবে।  
৬. সামাজিক উন্নয়ন, হত্যা, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, মাদকসহ সামাজিক অপরাধমুক্ত সিটি গড়তে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ সব আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
৭. সমাজে নারীদের গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, নারীদের হয়রানি, নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, ধর্ষণ, অ্যাসিড নিক্ষেপসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

৮. সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য মুক্তমঞ্চ ও মিলনায়তন নির্মাণ, সঙ্গীত, নাটকসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে প্রশিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সৃজনশীল সাংস্কৃতিক চর্চায় উৎসাহিত ও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে। বিনোদনের জন্য খেলার মাঠ ও শিশুপার্ক গড়ে তোলা হবে।  

৯. সহজ শর্তে অনলাইন সার্ভিস উন্নয়নের মাধমে নাগরিক সনদ, জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হবে।  

এসময় তিনি বলেন, প্রতি বছর দু’বার জনগণের মুখোমুখি জনতার মতামত ও অগ্রগতি কর্মসূচি পালন করা হবে। সিটির প্রত্যেক অফিসে মানুষের কথা নামক সিলগালা বাক্স থাকবে। যেখানে প্রত্যেক নাগরিক স্বাধীনভাবে তাদের অভিযোগ ও কথা লিখে রাখতে পারবেন। প্রতিবছর নিজের এবং পরিবারের আয়-ব্যয় ও সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা হবে।

ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা সভাপতি কমরেড জয়নাল আবেদীন খান, কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন, সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন, আহসান হাবিব, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৮
আরএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।