ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কেসিসি নির্বাচন

মধ্যরাতে প্রচারণা শেষ, ভোটের অপেক্ষা…

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
মধ্যরাতে প্রচারণা শেষ, ভোটের অপেক্ষা… শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)  নির্বাচনে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। মঙ্গলবার (১৫ মে) সিটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে রোববার (১৩ মে) মধ্যরাতে বন্ধ হবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।

সিটি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে মহানগরীর পাড়া-মহল্লা, অলিগলি মুখরিত মাইকিংয়ে। বিভিন্ন জায়গা ছেঁয়ে গেছে পোস্টার আর লিফলেটে।

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ ও প্রচারণা। তবে রাত ১২টার পর এবারের মতো শেষ হবে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা।

নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের মাঝেও বিরাজ করছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ। তাদের প্রত্যাশা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যোগ্য নগরপিতা নির্বাচিত হবেন।

দলের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা নিজেদের পক্ষে রায় নিতে মরিয়া হয়ে চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। ফলে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে রাজনৈতিক অঙ্গন। প্রশাসনও নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

খুলনা সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির শফিকুর রহমান মুশফিক (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) ও সিপিবি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।  ছবি: বাংলানিউজরিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে রোববার দিবাগত রাত ১২টায়। একই সঙ্গে বহিরাগতদের শনিবার রাত ১২টার মধ্যে সিটি এলাকা ত্যাগ করেছেন।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার বিকেলে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নামবে।

এছাড়া মহানগরীর ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা রয়েছেন ৪ হাজার ৯৭২ জন। এ নির্বাচনে ২৮৯টি ভোট কেন্দ্র। এর মধ্যে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এ দুটি কেন্দ্রের ১০টি বুথে ইভিএমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন দুই হাজার ৯৭৮ ভোটার।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্র্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী জানান, এরই মধ্যে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৪টি কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ  বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।   ভোটের দিন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিজিবি, এপিপিএনের প্রায় ১০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা,  মে ১৩, ২০১৮
এমআরএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।