নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কর্মশালায় শুক্রবার (৮ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘পরিবেশ-পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং আইন আরও কঠোর হচ্ছে।
সিইসি বলেন, ‘সমাজে নানা রকম অসাধু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জালিয়াতির চেষ্টা করা হয়। এ ধরনের জালিয়াতি প্রক্রিয়া প্রতিহত করতে আবার একটি আইন বা নিয়ম তৈরি হয়। সমাজে একটার পর একটা অনিয়ম অনুপ্রবেশ করে, আবার সেটি প্রতিহত করতে একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। আমরা এখন চিন্তা করছি ইভিএম শুরু করে দেবো, তাহলে সেখানে আর জালিয়াতি করার সুযোগ থাকবে না। ’
সিইসি বলেন, যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন তাদের কোনো পক্ষ নেই। তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। কে কোন দল করে, কে কোন মত করে, কে কার আত্মীয়, কার প্রভাব বেশি, কার কি রাজনৈতিক পরিচয় এসব বিবেচ্য বিষয় হবে না। সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাই দায়িত্ব। নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, এতে গোপনীয় কিছু নেই। শুধু গোপনীয় একটি কক্ষ আছে, যেখানে ভোটার গিয়ে ভোট দেবেন। এছাড়া নির্বাচন পরিচালনার সব তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। যিনি হেরে যাবেন তার কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। যিনি জিতে যাবেন তার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই হেরে যাওয়া ও জিতে যাওয়ার মধ্যে আপনাদের যেন কোনো গাফিলতি না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এবার পাঁচ ধাপে দেশের ৪৯২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি। প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ও পঞ্চম ধাপে ১৮ জুন ভোটগ্রহণ করবে কমিশন।
অনুষ্ঠানে ইটিআইয়ের ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯
ইইউডি/আরআর