ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নাসিক নির্বাচনের প্রচার শেষ শুক্রবার মধ্যরাতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
নাসিক নির্বাচনের প্রচার শেষ শুক্রবার মধ্যরাতে

ঢাকা: আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রচার শেষ হচ্ছে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত ১২টায়। এরপর যে কোনো ধরনের প্রচার, সভা, সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ নিষেধাজ্ঞা না মানলে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।

আগামী ১৬ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে চলছে শেষ দিকের প্রচার কাজ।

আইন অনুযায়ী, ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার কাজ শেষ করতে হবে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। আর সেই সময়টা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ১৪ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা। আর এই সময় থেকে ১৮ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার তো দুরের কথা কোনো ধরনে জনসভা, পথসভা, মিছিল করা যাবে না।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ বিষয়ে জানিয়েছেন, সম্প্রতি নির্দেশনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের জানাবেন। এছাড়া মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদেরও এই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ এই আদেশ অমান্য করলে ন্যূনতম ছয়মাস থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন নির্বাচন) বিধিমালা, ২০১০ এর ৭৪ বিধি অনুসারে ১৪ জানুয়ারি দিনগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৮ জানুয়ারি দিনগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা উহাতে যোগদান করতে এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা সংঘটিত করতে বা উহাতে যোগদান করতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি উক্ত বিধান লঙ্ঘন করলে অন্যুন ৬ (ছয়) মাস ও অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

এ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে মেয়র পদে ছয়জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।

মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন, স্বতন্ত্র থেকে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস এবং আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। সেসময় প্রার্থীরা প্রচারের জন্য সময় পেয়েছিলেন ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মোট ১৬ দিন। আর এবার ভোটগ্রহণ হবে ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি। প্রচার শুরু হয়েছে গত ২৮ ডিসেম্বর, আর শেষ হবে ১৪ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টায়। অর্থাৎ এবার প্রার্থীরা প্রচারের জন্য সময় পেয়েছেন ১৮দিন।

নির্বাচনে প্রায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এবার হচ্ছে তৃতীয় নির্বাচন। প্রথমবার নয়টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে।

প্রথমবার নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হয় এ সিটিতে। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন চালুর পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।