সিংড়া, নাটোর থেকে: জোড়মল্লিকা নিংগাইন দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনেই গৌর নদী। নদীর ঘাটে একটা নৌকাতেও বসার জো নেই।
চলনবিল থেকে চলনবিলে এই গৌরনদী। নিংগাইন উত্তরপাড়া থেকে নদী পার হয়ে ভোট দিতে আসছেন নারীরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো ঘাটই হয়ে উঠেছে উৎসবমুখর। আর এখানে পুরুষরা যেন সংখ্যালঘু।
ঘাটের পাড়ে বসেছে ছোট ছোট দোকান। সেগুলো থেকে খেলনা, চকলেট, মিষ্টি কিনছে শিশুরা। কোনো শিশু বায়না ধরে করছে কান্না। ভোট দিতে আসা এই নারীরা যেমন ঘরের কাজ শেষ করে এসেছেন, তেমনি কোলের শিশুকে নিয়েই রওনা করেছেন ভোট কেন্দ্রে।
ঘাটে তিন শিশুকে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন কপিরন। শিশুদের বয়স চার, দুই এবং ৩ মাস। একাই তিন শিশুকে নিয়ে এসেছেন। বড় দুইজন হেঁটে এসেছে। ছোট ছেলেকে নিয়ে এসেছেন কোলে করে।
এই স্কুল কেন্দ্রের পার্শ্বে প্রার্থীদের সহযোগিতা ক্যাম্প বসানোর জায়গা নেই। তাই ঘাটের পাড়ের রাস্তায় দেয়াল ঘেঁষেই হকারদের মতো বসেছেন বিভিন্ন দলের কর্মীরা।
নিংগাইন গ্রামের ভোটার হিরা বেগম বাংলানিউজকে হাসি মুখেই বলেন, 'মাইয়া বেডারাইতো বেশি থাইকবো'।
এ কেন্দ্রে লক্ষ্যণীয়ভাবে নারী ভোটারের দীর্ঘ লাইন। যেখানে পুরুষদের লাইনে ভোটার সংখ্যা ৬/৭ এর বেশি নয়।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ফারুক হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, বেলা ১১ টা পর্যন্ত ৬০০ এর ওপর ভোট পড়েছে। এখানে নারী ভোটারই বেশি।
ডেমোক্রেসি ওয়াচের নির্বাচন পর্যবেক্ষক আরমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নারী ভোটারদের সংখ্যা বেশি। সকালে কিছু বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল। তবে এখন সে দৃশ্য নেই। দুই মেয়র প্রার্থী এবং ম্যাজিস্ট্রেট এসে সমাধান করেছেন।
সিংড়ার মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না বলে আমার ভাই বিএনপির প্রার্থী শামীম অাল রাজী অভিযোগ করেন। আমরা এসে সমাধান করেছি।
ভোটের যে কোনো ফলাফল মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএন/আরআই