ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

ভোটের মাঠে মারামারিতে মরে গেলে ১০ লাখ, ভিডিও ভাইরাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
ভোটের মাঠে মারামারিতে মরে গেলে ১০ লাখ, ভিডিও ভাইরাল সাইফুল ইসলাম

কেরানীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচনে মারামারি করে কোনো কর্মী মারা গেলে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।  

তাছাড়া সংঘর্ষে কেউ আহত হলে তার সামগ্রিক চিকিৎসা খরচও বহন করবেন তিনি, এমনকি সংসারের চাল-ডালসহ যাবতীয় খরচও তিনিই বহন করবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে এই নেতা আরও বলেন, ‘আমি ঢোড়া সাপ। চুপ করে থাকি, আর কামড় দিলে মাংসসহ ছিঁড়ে ফেলি। ’ 

ক্ষমতাশালী দলীয় প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পুনরায় দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীর মুখে এমন কথায় শুধু বাসাইল ইউনিয়ন নয় বরং সারাদেশেই চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।  

এ ব্যাপারে বাসাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী নজরুল ইসলাম টিটু বলেন, সাইফুল ইসলাম যুবরাজ যে বক্তব্য দিয়েছে ফেসবুকে এটা ভাইরাল হলে অন্যান্য মানুষের মত আমারও নজরে আসে। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উস্কানিমূলক, এবং এটা সহিংসতার পূর্বাভাস বলে মনে করি। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে গতবার চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছেন। এবারও তিনি মনোনয়ন চেয়েছেন আমিও চেয়েছি। কিন্তু ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এ রকম বক্তব্য মোটেও কাম্য নয়। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।  

'এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম যুবরাজ মোবাইল ফোনে বলেন, ১৯৮৬ সালে নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে সহিংসতায় তিনজন লোক মারা গিয়েছিল। নিহতদের পরিবারকে কেউ সহযোগিতা করেনি। এতে করে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই কথার উদাহরণ দিয়ে আমি বলেছি যে, নির্বাচনে আসতে আপনারা ভয় করবেন না। আল্লাহ এমন দিন না আনুক যে কেউ মারা গেলে সহযোগিতা পাবেন না। আমার নির্বাচন করতে গিয়ে যদি কেউ মারা যান তবে আমি তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেব।  

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, তিনি যদি কোনো সহিংস ঘটনা ঘটান বা ঘটাতে চেষ্টা করেন আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

জানা যায়, এই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে আগামী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই ২৯ নভেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর, এবং প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।