মুনিরের বিয়ে ঠিক হয়েছে। সময়টা ভালো নয় তাই বাবা চান যত দ্রুত সম্ভব বিয়েটা সেরে ফেলতে।
জোয়ান ছেলেরা সব মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে। মুনিরের বাবার একটাই ছেলে। তিনি চান ছেলেকে যে কোনো উপায়ে আটকাতে।
উঠতি বয়সী ছেলে, বিয়ে দিলে ঠিক বউয়ের আঁচলে বাঁধা পড়ে যাবে। এই ভাবনা থেকেই পাশের গ্রামের এক গেরস্থের মেয়ের সঙ্গে সম্বন্ধ পাকা করে দিন তারিখ ঠিক করে এসেছেন তিনি। মেয়ে শিক্ষিত, কলেজে পড়ে। দু’দিন পরই বিয়ে। যোগাড়যন্ত্র শেষ পর্যায়ে।
মুনির মেয়ের ছবি দেখেছে। দেখতে ভারি মিষ্টি। এমনিতে বিয়েতে তার তেমন আপত্তিও ছিল না। কিন্তু এই সময়টাতে বিয়ে, সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।
সারাদেশ স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, প্রাণ দিচ্ছে মানুষ। আর সে কিনা শিক্ষিত একটা ছেলে হয়ে- এসময় বিয়ে করে বউয়ের সঙ্গে খুনসুটি করবে! আবার বদরাগী বাবাকে মুখের ওপর না করার সাহসও নেই মুনিরের। বিয়ের আগের রাতে মুনির মনস্থির করল, সে যুদ্ধে যাবে। বাবা-মার অনুমতি পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সুতরাং একটা চিঠি লিখে রাতের আঁধারেই পালাবে সে।
এদিকে, মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়া ছেলেদের নৌকায় করে বর্ডার পার করে দেয় নরেন মাঝি। অবশেষে নদীর ঘাটে পৌঁছায় মুনির। নৌকায় উঠে সে টের পায় তাতে আরেকটি মানুষ আগে থেকে উঠে বসে আছে। আপাদমস্তক ঢাকা। নৌকায় তারা দু’জন ছাড়া আর কেউ নেই। একটা সময় মুখ ঢেকে বসে থাকা মানুষটি ঘুরে বসে। তাকে দেখে চমকে ওঠে মুনির। সে আর কেউ নয় সালেহা!
এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ নাটক ‘অসমাপ্ত’। যেখানে মুনির চরিত্রে আফরান নিশো এবং সালেহা চরিত্রে মেহজাবীন চৌধুরী অভিনয় করেছেন।
সারওয়ার রেজা জিমির রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন তুহিন হোসেন। ‘অসমাপ্ত’ নাটকটি রোববার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে আরটিভি’র পর্দায় প্রচার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
এনএটি