ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের পূর্বপুরুষ ঢাকার বিক্রমপুরের অধিবাসী (তার দাদা সুধীর চন্দ্র ঘোষাল ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে কলকাতা চলে যান)। তাই গুনে গুনে পাঁচ বছর পর আবার তিনি ঢাকায় আসায় ভক্তরা খুশি।
টিকেটের মূল্য যথাক্রমে ১০ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার, ৫ হাজার ও সাড়ে ৩ হাজার টাকা রাখা হলেও আসন নিয়ে দর্শকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে অনেকে প্রতারণার অভিযোগও তুলেছেন বে এন্টারটেইনমেন্টের বিরুদ্ধে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা অবধি আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘শ্রেয়া ঘোষাল লাইভ ইন ঢাকা’ শিরোনামের কনসার্টে আলোকচিত্রীদের কারও ঢোকার অনুমতি নেই। তবে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডেইলি সান পত্রিকার আলোকচিত্রীরা এবং চ্যানেল নাইন ও যমুনা টিভির চিত্রগ্রাহকরা রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রি হলে থাকার অনুমতি পেয়েছেন। তবে সন্ধ্যায় হঠাৎ জানানো হয় সব সংবাদমাধ্যমের আলোকচিত্রী ঢুকতে পারবেন। এতেই স্পষ্ট হয়েছে আয়োজকদের উদাসীনতা। শ্রেয়া যে আলোকচিত্রী ও টিভি ক্যামেরা ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেননি, এটাই প্রমাণ হলো অবশেষে।
এদিকে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের একজন করে সাংবাদিকের জন্য বিশেষ প্রবেশপত্র আয়োজকরা ‘দিচ্ছি-দেবো’ এমন টালবাহানা করা হয়েছিলো। শেষমেষ বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে গিয়ে সংবাদকর্মীদেরকে বিশেষ প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হয়েছে।
এদিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে শ্রেয়াকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করেননি আয়োজকরা। এ ক্ষেত্রে ৩১ বছর বয়সী এই গায়িকা অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা। কিন্তু যে মেয়েটার পূর্বপুরুষের বাড়ি এখানে, তিনি এখানকার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হবেন না এমন যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় কারও কাছে। এ ক্ষেত্রেও আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা আর উদাসীনতাকেই দায়ী করা হচ্ছে।
এসব অভিযোগ নিয়ে কথা বলার জন্য বে এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোনালিসা খান হাসানকে মুঠোফোনে কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ সময় : ১৯১৭ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৫
জেএইচ