‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘মনে বড় আশা ছিলো’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’ - এমন অনেক কালজয়ী ও জনপ্রিয় গানের সুরস্রষ্টা আলম খান। ৭২ বছর বয়সী এই মানুষটি এখন হাসপাতালে শয্যাশায়ী।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দেশবরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খানকে। তবে এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
২০১০ সালে আলম খানের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে নেওয়া হয়। সেখানে ফুসফুসে অস্ত্রোপচারের পর কিছুদিন ভালো থাকলেও পরে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত বছর আলম খানের হৃদযন্ত্রে ধরা পড়া একটি ব্লকে রিংও পরানো হয়।
আলম খানের সুস্থতা কামনা করেছেন সংগীতপ্রিয় মানুষেরা। এরই মধ্যে হাসপাতালে দেখতে গেছেন অনেকে। এ তালিকায় আছেন সংগীত দম্পতি কবির বকুল ও দিনাত জাহান মুন্নী।
এদিকে আলম খানের অসুস্থতা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ না ছড়ানোর জন্য তার পরিবারের সদস্যরা অনুরোধ করেছেন। নেবুলাইজিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাকে- এমন একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কেউ কেউ এটাকে অস্ত্রোপচার বলে খবর প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন আলম খানের পরিবার।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার আলম খানের জনপ্রিয় গানের তালিকায় আরো আছে- ‘সবার জীবনে প্রেম আসে’, ‘কী জাদু করিলা’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘বুকে আছে মন’, ‘কারে বলে ভালোবাসা’, ‘তোরা দেখ দেখ রে চাহিয়া’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘এখানে দুজনে নিরজনে’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘এক চোর যায় চলে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’, ‘তোমরা কাউকে বোলো না’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬
এসও/জেএইচ