কেউ শুন্যে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। কেউবা বিশাল পাথর অনায়াসে তুলে ধরে! কেউ আবার আগুনকে হাতের মুঠোয় ধরে রাখতে সক্ষম।
ছবিটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেমস বন্ড সিরিজের ‘ক্যাসিনো রয়েল’ তারকা ইভা গ্রিন। এ নিয়ে ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ডার্ক শ্যাডোস’-এর পর দ্বিতীয়বার টিম বার্টনের পরিচালনায় কাজ করলেন তিনি। পেরেগ্রিনের যখন-তখন পাখি হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে। ‘পেনি ড্রডফুল’ (২০১৪) সিরিজের পর আবার রহস্যময় শক্তিশালী চরিত্রে দেখা গেলো ইভাকে।
২ ঘণ্টা ৭ মিনিট ব্যাপ্তির নতুন ছবিটিতে আরও আছেন ‘ক্যাসিনো রয়েল’-এ ইভার সহশিল্পী বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জুডি ডেঞ্চ। ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিতে নির্মিত ব্রিটিশ, আমেরিকা ও বেলজিয়ান ডার্ক ফ্যান্টাসি অ্যাডভেঞ্চার ড্রামা ছবিটি প্রসঙ্গে টিম বার্টন বলেছেন, ‘অদ্ভুত এই জগতে নারীরাই সুরক্ষাকারী। ’
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্যামুয়েল এল. জ্যাকসন, অ্যাসা বাটারফিল্ড, টেরেন্স স্ট্যাম্প, এলা পার্নেল, রুপার্ট এভারেট, অ্যালিসন জেনি, ক্রিস ও’ডৌড। টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের পরিবেশনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি এখন উত্তর আমেরিকার বক্স অফিস শাসন করছে। প্রেক্ষাগৃহ প্রতি ৮ হাজার ৯২ ডলার গড়ে এর আয় হয়েছে ২ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার। আমেরিকার বাইরে ৫৯টি বাজারে প্রায় ৯ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ছবিটি। সেগুলো থেকে এসেছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। ছবিটির বাজেট ১১ কোটি মার্কিন ডলার।
টিম বার্টনের ছবিতে অন্ধকার, বর্বরতা ও বিচিত্র ফ্যান্টাসির প্রাধান্য থাকে। এর মধ্যে অন্যতম ‘বিটলজুস’ (১৯৮৮), ‘ব্যাটম্যান’ (১৯৮৯), ‘এডওয়ার্ড সিজারহ্যান্ডস’ (১৯৯০), ‘ব্যাটম্যান রিটার্নস’ (১৯৯২), ‘এড উড’ (১৯৯৪), ‘স্লিপি হলো’ (১৯৯৯), ‘প্লানেট অব দ্য এপস’ (২০০১), ‘চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি’ (২০০৫), ‘সুইনি টড: দ্য ডেমন বারবার অব ফ্লিট স্ট্রিট’ (২০০৭), ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ (২০১০)।
‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ (২০১০) ছবির পর টিম বার্টনের ‘ডার্ক শ্যাডোস’ (২০১২) ও ‘ফ্রাঙ্কেনউইনি’ (২০১২) ‘বিগ আইস’ সাফল্য পায়নি। এক্ষেত্রে “মিস পেরেগ্রিন’স হোম ফর পিকিউলিয়ার চিলড্রেন” ৫৮ বছর বয়সী এই নির্মাতার প্রতি দর্শকদের বিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৬
জেএইচ