নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অত্যাচারিত মানুষের ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হয় মা দুর্গা। সে একাই দশজনের সম্মিলিত ঐক্যের শক্তি।
গল্পে দুর্গার মা মৃত। বাবা হরিদাস পাল হিন্দু অধুষ্যিত গ্রাম বৈকুণ্ঠপুরে একমাত্র কুমার। আশেপাশের কয়েক গ্রামেও আর কোনো কুমার নেই। পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত তার বেশকিছু জমিতে একটি মন্দিরও আছে। সেখানেই তিনি প্রতিমা বানান। কালের বিবর্তনে এই ভূ-সম্পত্তির দাম বেড়েছে বহুগুণ।
জমিটির ওপর কুনজর পড়ে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি জর্নাদন সিকদারের। তার একটি মাস্তান বাহিনীও আছে। তাদের কারণে গ্রামবাসী অতিষ্ট। কিছুদিন আগে তারা কালীদাস রায়কে ভিটামাটি ছাড়া করে। কিন্তু দুর্গাকে ভালোবাসার টানে আবার গ্রামে ফিরে আসে কালীদাস রায়ের পুত্র রজত রায়।
আরও অনেক পরিবারকে নিঃস্ব করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় জনার্দন। সে হরিদাস পালের জমিজমা দখলের পাঁয়তারায় একটি জাল দলিল তৈরি করে। হরিদাসকে আসন্ন পূজার আগেই জমিজমা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। নয়তো দুর্গাকে তার সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে।
দুর্গাপূজার সাতদিন আগে সেই মন্দিরে গ্রামের সাধারণ লোকজন মহালয়া অনুষ্ঠানে এলে তাদের কাছে জনার্দনের অত্যাচরের বর্ণনা দেন হরিদাস পাল। সবার বোধদয় হয়। তারা সম্মিলিতভাবে অসুরসম জর্নাদনকে প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি নেয়।
কথামতো পূজার আগের দিন জনার্দন সিকদার তার মাস্তান বাহিনী নিয়ে হরিদাস পালের বাড়ির দিকে আসে। তার বাইরে দাঁড়িয়ে তাদেরকে বের হয়ে যেতে বলে। প্রথমে দুর্গা বেরিয়ে আসে। তার হাতে বড় দা। এরপর একে একে সবাই বের হয়। তাদের প্রতিরোধের মুখে জনার্দন সিকদার পিছু হটে।
নাটকটি লিখেছেন শৌর্য দীপ্ত সূর্য। এতে আরও অভিনয় করেছেন সাব্বির আহমেদ, নরেশ ভূঁইয়া, বড়দা মিঠু, জেরি, তালিম, সুহৃদ জাহাঙ্গীর ও অনেকে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ‘দশভুজা’ পরিচালনা করেছেন শৌর্য দীপ্ত সূর্য ও সোহেল রানা। সম্প্রতি এর চিত্রায়ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৬
জেএইচ