বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমার ও অভিনেত্রী সায়রা বানু ৫০তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করছেন মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর)। এ উপলক্ষে টুইটারে স্ত্রীর জন্য কবিতা লিখেছেন ৯৩ বছর বয়সী দিলীপ সাহেব।
এমনিতে দিলীপ কুমার টুইটারে সক্রিয় নন। হঠাৎ তিনি হয়তো ব্যবহার করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। তাই সোমবার বিকেল থেকে তার ধারাবাহিক টুইট সবার কাছেই অপ্রত্যাশিত লেগেছে।
দাম্পত্য জীবনের অর্ধশত বছর পূর্ণ হওয়ায় স্ত্রী সায়রা বানুর জন্য দারুণ কবিতা পোস্ট করেছেন দিলীপ কুমার। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন নিজেদের অদেখা কয়েকটি স্থিরচিত্র।
প্রথম টুইটারে দিলীপ কুমার লিখেছেন, ‘আল্লাহ পরম দয়ালু। সায়রা ও আমি ৫০টি মহিমান্বিত বছর একসঙ্গে আছি। হাজারও ই-মেইল, মেসেজ ও ফোন কলে আসা অভিনন্দনে সিক্ত হচ্ছি আমরা। ’
এরপর দিলীপ কুমার জানান, দিনভর পুরনো ছবির অ্যালবাম দেখে কাটিয়েছেন। এগুলোরে বেশিরভাগই বাইরের কেউ দেখেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
৭২ বছর বয়সী সায়রাকে উদ্দেশ্য করে লেখা দিলীপ কুমার কবিতার বাংলা করলে দাঁড়ায়- ‘আমাদের ভালোবাসা ৫০ বছর ধরে অটুট আছে। এই কৃতজ্ঞতা কীভাবে আদায় করবো! তোমার কণ্ঠের মায়ায় মোহাবিষ্ট হয়ে আছি। তুমি যেন পূর্ণিমার চাঁদ, স্বর্গ থেকে এসেছো আমার ঘরে। ’
দিলীপ সাহেব ও সায়রা বানু বিয়ে করেন ১৯৬৬ সালে। যে কোনো দম্পতির কাছেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার বড় উদাহরণ তারা। দু’জনে মিলে বড়পর্দায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘দুনিয়া’ (১৯৮৪), ‘বৈরাগ’ (১৯৭৬), ‘সাগিনা’ (১৯৭৪), ‘ছোটি বহু’ (১৯৭১), ‘গোপি’ (১৯৭০) ছবিতে।
হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারদের মধ্যে অন্যতম দিলীপ কুমার পাঁচ দশকেরও বেশি সময় (১৯৪৪-১৯৯৮) দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। ভারতীয় অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুরস্কারজয়ের গিনেস ওয়াল্র্ড রেকর্ড তারই দখলে।
অন্যদিকে সায়রা বানুর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৬১ সালে ‘জংলী’ ছবির মাধ্যমে। তার অভিনীত অন্যান্য ছবির তালিকায় উল্লেখযোগ্য ‘পাড়োসান’ (১৯৬৮), ‘পূর্ব অউর পশ্চিম’ (১৯৭০), ‘ভিক্টোরিয়া নম্বর ২০৩’ (১৯৭২) প্রভৃতি।
* দিলীপ কুমার ও সায়রা বানুর ৫০তম বিয়েবার্ষিকী উপলক্ষে সাজানো ভিডিও :
বাংলাদেশ সময় : ১৬২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
জেএইচ