স্ত্রী সুজান খানের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের পর থেকে অভিনেতা হৃতিক রোশনের জীবনে এখন আর রোজ সুখপাখি ধরা দেয় না। এ ছাড়া অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়া আর আইনি ঝামেলাও বেশ ভোগাচ্ছে তাকে।
‘ব্যাং ব্যাং’ তারকার মতে, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় স্বাভাবিকভাবে বলা উচিত সবার। এটা এমন কিছু নয় যে প্রতিকার পাওয়া যাবে না। তিনি বলেছেন, ‘আমার জীবনে উত্থান-পতন আছে। বিষণ্নতার মতো গড়বড় পরিস্থিতিতে পড়ার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। এটা খুব সাধারণ ব্যাপার। এ নিয়ে কথা বলার সময় আমাদের স্বাভাবিক থাকা উচিত। মন খুলেই এসব বিষয় বলা দরকার। ’
মুম্বাইয়ে ‘এভরিডে হিরোস’ শীর্ষক এক প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব বলেন হৃতিক। এ কর্মসূচির লক্ষ্য হলো মানসিক অসুস্থতাকে মেনে নিয়ে এটাকে মোকাবেলা করা। ৪২ বছর বয়সী এই তারকার মতে, জীবনে উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতা প্রয়োজনীয়। এটা মানুষ হিসেবে উত্তরণে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
হৃতিকের ভাষ্য, ‘আমার নিজের ব্যক্তিজীবনে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। প্রত্যেকেরই এমন অভিজ্ঞতা হয়। উত্থান যেমন জরুরি, তেমনি পতনও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুটোতেই নিজেকে নতুনভাবে চেনা যায়। ব্যর্থতার সময় সবচেয়ে জরুরি হলো চিন্তার স্বচ্ছতা। মাঝে মধ্যে মাথা কাজ করে না, তখন অবাঞ্ছিত চিন্তা কুড়ে কুড়ে খায়। এ সময়ে অন্যদের উচিত এসব তুলে ধরা। ’
২০০০ সালে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে নায়ক হিসেবে অভিষেক হয় হৃতিকের। তিনি জানিয়েছেন, নিজের অনেক বন্ধুকে নিরবে বিষণ্নতার মতো মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে দেখেছেন। এটা তাকে গভীরভাবে ভাবিয়েছেও।
‘মহেঞ্জোদারো’ তারকা আরও বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে এ বিষয়টি আমার ভাবনায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আমার বন্ধুদেরকে এ সমস্যায় ভুগতে দেখেছি। এটা আমারও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই মানসিক সমস্যা নিয়ে সবসময় নিজেকে প্রশ্ন করে উত্তর খুঁজেছি। ’
যোগ করে হৃতিক বলেছেন, ‘জীবনের কোনো না কোনো সময়ে প্রত্যেকেই কিছু মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়। পাকস্থলী কিংবা কিডনির সমস্যায় ভুগলে আমরা স্বাভাবিকভাবে নিই। কিন্তু মস্তিষ্কে সমস্যা হলেই ভড়কে গিয়ে এটাকে নিজের ত্রুটি ভেবে অন্যদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখি। অথচ এটাও আমাদের একটা অঙ্গ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬
জেএইচ