ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ লাপাত্তা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ লাপাত্তা সত্যজিৎ রায় (ছবি: সংগৃহীত)

ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অব ইন্ডিয়া (এনএফএআই) থেকে লাপাত্তা হয়ে গেছে বেশ কিছু কালজয়ী চলচ্চিত্র। এর মধ্যে আছে সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ‘পথের পাঁচালী’, ‘অপরাজিত’ ও ‘চারুলতা’। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, আর্কাইভের তত্ত্বাবধানে থাকা ৫১৫০০ ফিল্ম ক্যান ও ৯২০০টি প্রিন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে সত্যজিতের পাশাপাশি রয়েছে আকিরা কুরোসাওয়া, গুরু দত্তের বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্র।

জানা যায়, ২০১২ সালে পুণের একটি বেসরকারি সংস্থাকে ন্যাশনাল আর্কাইভে রাখা ফিল্ম ক্যানগুলোর বার কোডিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাজ করতে গিয়ে ওই সংস্থা দেখে, যে চলচ্চিত্রগুলো নথিবদ্ধ হয়ে আছে, তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বহু ক্যানই লাপাত্তা। সেই তালিকায় রয়েছে সত্যজিৎ রায়, রাজ কাপুর, গুরু দত্ত, মৃণাল সেনের কালজয়ী ছবিগুলো।

শুধু ভারতীয় পরিচালকদের ছবিই নয়, ভিনদেশি ক্লাসিক ছবিরও কালেকশন ছিলো। ছিলো কুরোসাওয়া, পোলানস্কি, আইজেনস্টাইনের মতো বিখ্যাত পরিচালকের কিছু ছবি, যেগুলোর কোনও হদিশ মিলছে না। নির্বাক যুগের বেশ কিছু ছবিও হারিয়ে গেছে।  

এখানেই শেষ নয়, ঐতিহাসিক বেশ কিছু ঘটনার ফুটেজও পাওয়া যাচ্ছে না। মহাত্মা গান্ধীর প্যারিস সফর থেকে শুরু করে প্রাক স্বাধীনতা পর্বের বহু নিদর্শন হারিয়ে গেছে বলেও জানা গেছে। এ ছাড়া কিছু ক্যান মিলেছে, যেগুলো আবার আর্কাইভে নথিবদ্ধ নেই। কী করে এরকম ঐতিহ্যবাহী ছবি ও ফুটেজ হারিয়ে গেলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বলিউড অভিনেত্রী শাবানা আজমি এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘৯,২০০টি ছবির আসল প্রিন্ট ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভে পাওয়া যাচ্ছে না। এগুলো হারিয়ে যাওয়া সম্পদ, এ ব্যাপারে এখনই নজর দেওয়া দরকার। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
বিএসকে/এসও

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।