ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

শিল্পকলার মঞ্চে যুদ্ধবিরোধী ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ 

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
শিল্পকলার মঞ্চে যুদ্ধবিরোধী ‘ত্রিংশ শতাব্দী’  ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র একটি দৃশ্য

নাট্যসংগঠন স্বপ্নদল’র দেশ-বিদেশে প্রশংসিত প্রযোজনা ‘ত্রিংশ শতাব্দী’। বাদল সরকারের মূল রচনা অবলম্বনে যুদ্ধবিরোধী গবেষণাধর্মী এই নাটকটির রূপান্তরসহ নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। সোমবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র ১০৭তম প্রদর্শনী। 

যুদ্ধোন্মাদনার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র মূলকাহিনি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকির আণবিক বোমা বিস্ফোরণের অপ্রত্যাশিত পরিণতির কথা।

এর সমান্তরালে গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বসনিয়া-ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান-ভারত, ইরাকে আগ্রাসন, কুয়েত-তিউনিশিয়া-ইয়ামেন-সিরিয়া-তুরস্ক-মিয়ানমার-গুলশানে বর্বর হামলা, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে ও শ্রীলংকায় অমানবিক সন্ত্রাসী হামলা, ফেনীর সোনাগাজীতে শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে হত্যা, বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা প্রভৃতি নানা প্রসঙ্গ।

 ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র একটি দৃশ্য‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনায় বহুমুখী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবাজ-যুদ্ধাপরাধী-অশান্তিকামীদের স্বরূপ এবং তাদের কাজের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী বীভৎসতার চিত্র উদঘাটিত হয়েছে। সভ্যতা ধ্বংসকারী মানবসৃষ্ট যুদ্ধ-গণহত্যা-অনাচারের বিপরীতে মানুষ হিসেবে বর্তমান কর্তব্য অনুধাবন এবং এক্ষেত্রে দর্শককে সিদ্ধান্তগ্রহণের মুখোমুখি স্থাপনই ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার প্রত্যাশা। আর প্রযোজনাটির উপস্থাপনায় প্রয়োগ করা হয়েছে হাজার বছরের নাট্য-ঐতিহ্যের ধারায় আধুনিক ‘বাংলা নাট্যরীতি’।

‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার গ্রন্থিকেরা হলেন- জুয়েনা শবনম, ফজলে রাব্বি সুকর্ন, সামাদ ভূঞা, শিশির সিকদার, সুমাইয়া আক্তার, শাখাওয়াত শ্যামল, মেহেদী রানা, সোনালী রহমান, অর্ক অপু ও জাহিদ রিপন।  

‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনাটি দেশের বাইরে জাপানের প্রধান নাট্যোৎসব ‘টোকিও ফেস্টিভ্যাল ২০১৮,  লন্ডনে ইউরোপের স্বনামখ্যাত নাট্যোৎসব ‘সিজন অব বাংলা ড্রামা ২০১৫’, নয়াদিল্লির ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি)’, এশিয়ার বৃহত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ ভারতের রাষ্ট্রীয় নাট্যোৎসব ‘ভারত রঙ মহোৎসব ২০১৫’-এ বেশ প্রশংসিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।