ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মুক্তি পাচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘পঞ্চসঙ্গী’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
মুক্তি পাচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘পঞ্চসঙ্গী’ মুক্তি পাচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘পঞ্চসঙ্গী’

ঢাকা: কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের উপন্যাসকেই চলচ্চিত্রের বড় পর্দায় সাজিয়েছেন ছেলে জাঁ-নেসার ওসমান।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় ছবিটির প্রিমিয়ার হয়।

‘পঞ্চসঙ্গী’র প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক জাঁ-নেসার ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সদস্যসচিব ফরিদ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।



অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, যুগে যুগে দেশকে ভালোবাসতে হলে, স্বনির্ভর রাখতে গেলে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে ধারণ করে ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে ‘পঞ্চসঙ্গী’ সিনেমাটি একটি পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্ম যদি “পঞ্চসঙ্গী”র মতো শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখে বড় হয়, তাহলে ভবিষ্যতে দুষ্টু লোকেরা শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিকৃত ইতিহাস গেঁথে দিতে পারবে না। ’ লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘পঞ্চসঙ্গী’ চলচ্চিত্রটি নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নাড়া দেয়। এই চলচ্চিত্রটি বারবার শিশু-কিশোরদের দেখাতে হবে।

পিতার উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য নির্মাতা জাঁ-নেসার ওসমান ‘পঞ্চসঙ্গী’র জন্য সরকারের অনুদান নিয়েছেন ২০১৩-১৪ অর্থবছরে। তারপর থেকে প্রিমিয়ার পর্যন্ত আসা শিশুতোষ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ হওয়ার পেছনেও রয়েছে নানা গল্প।  

এত বছর কেন লাগল? নির্মাতা জাঁ-নেসার ওসমান জানালেন, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ‘পঞ্চসঙ্গী’সহ মোট ১০টি ছবি অনুদান প্রাপ্তির জন্য প্রতিযোগিতা করেছিল। তখন শিশুতোষ চলচ্চিত্র শাখা ও অন্যান্য বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল ‘পঞ্চসঙ্গী’ ছবির চিত্রনাট্যটি। জাঁ-নেসার ওসমান বলেন, ‘যেহেতু আমার ছবিটি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল, সেহেতু ধরেই নিয়েছিলাম “পঞ্চসঙ্গী” অনুদান পাবে। কিন্তু এটি তো অনুদান পেলই না, উল্টো যে ছবিগুলো তালিকার নয়, ১০ নম্বরে ছিল, সেগুলোই অনুদান পেল। ’ 

‘পঞ্চসঙ্গী’ ছবিটিকে অনুদান না দেওয়ার পক্ষে কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, ‘জননী’ নামের একটি অনুদানপ্রাপ্ত ছবির কাজ যথাসময়ে শেষ করতে পারেননি জাঁ-নেসার ওসমান। এ প্রসঙ্গে জাঁ-নেসার ওসমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জননী” ছবি শেষ করতে না পারার অন্যতম কারণই ছিল ছবিটির জন্য ঘোষিত অর্থের একটি টাকাও তৎকালীন কর্তৃপক্ষ আমাকে দেয়নি। ফলে প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমিও আর এগোতে পারিনি। ’ অবশ্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছবিটি শেষ পর্যন্ত সরকারি অনুদান পায় এবং এরপরই সেটির কাজ শেষ হয়।

ছবিটির সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। কিছু দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ছিল। অবশেষে মুক্তি পেয়েছে কিছু দৃশ্য কাটছাঁট করে। পরিচালক বললেন, ‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য ফেলে দেওয়ার কারণে কাছে শেষটা একটু খাপছাড়া লেগেছে। আমরা সেন্সর বোর্ডে আবার আবেদন করে যুক্তিযুক্ত দৃশ্যগুলো যোগ করার চেষ্টা করব। ’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠন কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
এমএইচ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।