ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সময়-কাল ছাপিয়ে আব্দুল জব্বার থাকবেন মানুষের হৃদয়ে

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২১
সময়-কাল ছাপিয়ে আব্দুল জব্বার থাকবেন মানুষের হৃদয়ে আব্দুল জব্বার

‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’- এমন অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের শিল্পী ছিলেন আব্দুল জব্বার। কিংবদন্তি এই শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার (৩০ আগস্ট)।

 

২০১৭ সালের আজকের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী।  

আবদুল জব্বার ১৯৩৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ওস্তাদ ওসমান গনি এবং ওস্তাদ লুৎফুল হকের কাছে গানের তালিম নিয়েছেন তিনি। ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান বেতারে তালিকাভুক্ত এবং ১৯৬২ সালে সিনেমায় প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু হয় তার।

১৯৬৪ সাল থেকে বিটিভিতে নিয়মিত গান শুরু করেন আব্দুল জব্বার। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ডাক এলে তিনি গানকেই করেছিলেন মুক্তির হাতিয়ার। অস্ত্র দিয়ে নয় তিনি পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন দরাজ কণ্ঠে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তার গান মুক্তিযোদ্ধাদের জুগিয়েছে সাহস আর অনুপ্রেরণা।

আব্দুল জব্বার সঙ্গীত জীবনে শুধু দেশের গানই নয় আধুনিকের পাশাপাশি কণ্ঠ দিয়েছেন অসংখ্য প্লেব্যাকে। আমৃত্যু সুর-সাধনায় মগ্ন ছিলেন তিনি। তাইতো তার গাওয়া গানগুলো আজও ফেরে মানুষের মুখে মুখে। যার কারণে সময়-কাল ছাপিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের হৃদয়ের উচ্চাসনেই রয়ে যাবেন তিনি।  

আব্দুল জব্বারের গাওয়া ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান তিনটি ২০০৬ সালে বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় জায়গা করে নেয়।  

তার অনান্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘পিচ ঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছি’, ‘এক বুক জ্বালা নিয়ে’, ‘বন্ধু তুমি শত্রু তুমি’, ‘বিদায় দাও গো বন্ধু তোমরা’, ‘তুমি আছো সবই আছে’, ‘তারা ভরা রাতে’, ‘আমি তো বন্ধু মাতাল নই’, ‘সুচরিতা যেওনাকো, আর কিছুক্ষণ থাকো’।  

আব্দুল জব্বার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। এরমধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক (১৯৭৩), একুশে পদক (১৯৮০), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৬), বাচসাস পুরস্কার (২০০৩), সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-আজীবন সম্মাননা (২০১১) ও জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২১
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।