বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের নানা বিষয় তুলে ধরতে রোববার (৩০ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদ। সেখানে জায়েদ খানের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের কোনো এক ব্যক্তির আলাপের স্ক্রিনশট ফাঁস করেন নিপুণ।
সেখানে দেখা যায়, কাঞ্চন-নিপুণ-রিয়াজদের হারানোর জন্য অপকৌশল অবলম্বন করছেন জায়েদ।
বিষয়টি নিয়ে জায়েদ খান বলেন, স্ক্রিনশটের ব্যাপারটি নির্বাচনের আগের দিনই আমার কাছে এসেছে। স্ক্রিনশট হলে, যার কাছে মেসেজ পাঠিয়েছি, তার ছবিটা কোথায়? দুইজনের সঙ্গে আলাপের স্ক্রিনশট দেখানো হয়েছে, তাহলে সেই মানুষটা কে? আমরা এতো বোকা না। স্ক্রিনশট দিয়ে তার নামটা সরিয়ে দেবেন, তাহলে কীভাবে হবে! ওই লোকটাকে সামনে আনেন। যাকে আমি এসব মেসেজ দিয়েছি, তাকে দেখতে চাই।
সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া জায়েদ খান বলেন, এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমার একটা ছবি দিয়ে প্রোফাইল খুলে এই স্ক্রিনশটগুলো রেডি করে তারপর ছেড়ে দিয়েছে। আমি ওইদিনই বিষয়টি নিয়ে সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে কথা বলেছি। অলরেডি আমি স্ক্রিনশট পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা এটা নিয়ে কাজ করছেন। এটা যে করেছে, তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি মামলা পর্যন্ত করব।
জায়েদ খান আরও বলেন, মেসেজের পাশে ওই ব্যক্তির ছবিও থাকার কথা, উপরে নাম থাকার কথা। কিছুই নেই। এটা কীভাবে সম্ভব। এটা সুপার এডিট। আমি বলেছিলাম, আমাকে মার্ডার কেসে আটকানোর চেষ্টা করেছে, পপিকে দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছে, এখন এগুলো শুরু করেছে।
জায়েদ খান আরও বলেন, আমি কেন জিতেছি এটাই তাদের সমস্যা। দ্বিতীয়বারও নির্বাচনে হারলে তৃতীয়বার নির্বাচন চাইবে। আমি যতবার নির্বাচন করবো, ততবারই জয়ী হবো। আমরা যেভাবে কাজ করেছি ২১ জনই তো পাস করার কথা। আমি তো কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি।
তিনি বলেন, রিয়াজ ভাই একজন পুলিং এজেন্ট হয়ে ভেতরে শিল্পীদের কাঞ্চন-নিপুণকে ভোট দিতে বলেছেন। তিনি তো পুলিং এজেন্ট হিসেবে ভেতরে কারও কাছে ভোট চাইতে পারেন না। আমি তো অভিযোগ করিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
এনএটি