ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

দুর্লভ প্রজাতির সাপ ‘হলুদচিতি-ঘরগিন্নি’

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
দুর্লভ প্রজাতির সাপ ‘হলুদচিতি-ঘরগিন্নি’ বিরল প্রজাতির ‘হলুদচিতি-ঘরগিন্নি’ সাপ | ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: দুর্লভ প্রজাতির একটি ‘হলুদচিতি-ঘরগিন্নি’ সাপ চা বাগান এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের সময় সাপটি ভয় পেয়ে আত্মরক্ষার্থে কুণ্ডলি পাকিয়েছিল।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল সাপটিকে উদ্ধার করেন।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গল ভুরভুরিয়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক এএইচএম সাদিকুর রহমানের বাংলোতে হলুদচিতি-ঘরগিন্নি সাপ দেখে বাংলোতে বসবাসরত সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে আমাদের বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দিলে আমরা সাপটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে আসি।

স্বপন দেব বলেন, উদ্ধারের পর অনেক চেষ্টা করেছি সাপটিকে লম্বা করে একটি ছবি তোলার জন্য। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। ভয় পেয়ে সাপটি কুণ্ডলি পাকিয়েছিল।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হলুদচিতি-ঘরগিন্নি’ সাপটির শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হবে।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আদনান আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, এই সাপের নাম ‘হলুদচিতি-ঘরগিন্নি’। তবে কেউ কেউ ‘হলুদছাপ-ঘরগিন্নি’ সাপও বলে থাকেন। এর ইংরেজি নাম Twin-spotted Wolf Snake এবং বৈজ্ঞানিক নাম Lycodon jara। সাপটি পাহাড়ি অঞ্চলের সাপ। বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি বনে এরা থাকে। তবে এই সাপ পাহাড়ি অঞ্চলের বাইরে ময়মনসিংহ এবং গাজীপুরেও দেখা গেছে।

সাপটির স্বভাব এবং শারীরিক বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এই সাপ খুবই লাজুক প্রকৃতির। ভয় পেয়ে গেলে বা উত্তেজিত হয়ে গেলে এরা নিজের শরীরের কুণ্ডলি পাকিয়ে মাথাটাকে লুকিয়ে ফেলে। সেটা সোজা হয়েও থাকতে পারে আবার উল্টোদিকেও থাকতে পারে। এই প্রজাতির অপ্রাপ্তবয়স্ক সাপগুলোর মাথার পেছেনে সাদা বা হলুদ দাগ থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর ওই সাদা বা হলুদ দাগগুলো চলে যায়। তখন পুরো শরীরে হলুদ ফোটা ফোটা দাগ চলে আসে।

এরা মূলত নিশাচর প্রজাতির সাপ। তবে মাঝে মাঝে এরা দিনের বেলাতেও কর্মমুখর থাকে। এরা সাধারণত ব্যাঙ, ছোট ছোট গিরগিটি, আচিলা এই ধরনের শিকার ধরে খায়। এরা মাটিতে থাকতেই পছন্দ করে বলে জানান আদনান আজাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
বিবিবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।