শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী এলাকায় “আমার নদী আমার জীবন” শীর্ষক এক সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা’র আজীবন সদস্য ড. জহিরুল হক শাকিল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনাহীনতা ও জনসাধারণের অসচেতনতার কারণে নদীগুলোর নাব্যতা কমে গেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখা এবং খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার এর যৌথ উদ্যোগে নদী বিষয়ক আলোচনা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শবনম আফরোজ ডেইজি, আমিনুল ইসলাম, আফসানা জাহান, ওসমান গণি রুমি, আবিদুর রহমান রাকিব, সাইফুল ইসলাম, তাসকিয়া তাবাসসুম বৃষ্টি প্রমুখ।
তোফাজ্জল সোহেল বলেন, কয়েক বছর ধরে হবিগঞ্জের বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে অনেক মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প কারখানা। বিগত বছরগুলোতে এই শিল্পায়ন পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটিয়ে আসছে। যত্রতত্র কৃষিজমি, খাল, ছড়া এবং নদীসহ সব রকম জীবন ও জীবিকা শিল্প দূষণের শিকার হয়েছে।
খোয়াই নদী ড্রেজিং না হওয়াতে নদীর তলায় পলি ও বালি জমে জমে স্থানে স্থানে চড়া পড়েছে। নদীর তলদেশ প্রায় ১২/১৬ ফুট উঁচু হয়ে উঠেছে। এতে নদী ঘিরে থাকা শহর হয়েছে হুমকির সস্মুখীন আর নদীর অপর পারের গ্রাম ও ফসলি জমিকে সহ্য করতে হচ্ছে ভাঙনের আঘাত। দেখা যায়, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে অথবা অন্য সময়েও পাহাড়ি ঢলে খোয়াই ফুলে ফেঁপে উঠলে হবিগঞ্জের উজানে অথবা ভাটিতে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। আর ভাঙন মানেই হাজার হাজার একর জমির ফসল হানি আর হাজারো মানুষের দুর্ভোগ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৮
আরএ