ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

উড়িষ্যায় আঘাতের পর দুর্বল হয়ে পড়ছে ‘তিতলি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
উড়িষ্যায় আঘাতের পর দুর্বল হয়ে পড়ছে ‘তিতলি’

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়েছে। এটি স্থলভাগ দিয়ে উপরের দিকে সরতে সরতে দুর্বল হয়ে পড়ছে। সে কারণে এর কোনো বড় প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হবে বলে আভাস দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূলে ‘তিতলি’র তাণ্ডবের খবর দেয় স্থানীয় ও কলকাতাভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় আঘাত হানার সময় ‘তিতলি’র গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

অন্ধ্রে প্রলয়কাণ্ড চালিয়ে উত্তরের দিকে এসে উড়িষ্যার গানজাম জেলায় আছড়ে পড়ার সময় এর তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। সেসময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার পর্যন্ত।

সকাল ৭টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি আরও উত্তর/উত্তর-পশ্চিম অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।  

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ভারতে স্থলভাগের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করছে। স্থলভাগে থাকায় এটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত হবে। আপাতত বড় কোনো প্রভাব পড়বে না।

আবহাওয়াবিদ রাশেদ্দুজামান জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ঝড় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতেই শুরু হয় টানা বর্ষণ। আর আঘাত করার পর উড়িষ্যার গানজাম, গজপতি, পুরি, খুর্দ ও জগতসিংপুর এবং অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলামসহ বেশ কিছু জেলায় শুরু হয় ভূমিধস। ঝড়ের পর বেশ কিছু সড়ক-মহাসড়কে গাছ-বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে থাকতেও দেখা যায়। গোপালপুর ও বারহামপুর শহরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সর্বপ্রকার যোগাযোগ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণহানির কোনো খবর মেলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এমআইএইচ/এইচএ/

** অন্ধ্র-উড়িষ্যায় তীব্র বেগে ‘তিতলি’র আঘাত, ভূমিধস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।