ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

তীব্র তাপদাহ: প্রশান্তির পরশ পেতে ধরলা তীরে মানুষ

ফজলে ইলাহী স্বপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
তীব্র তাপদাহ: প্রশান্তির পরশ পেতে ধরলা তীরে মানুষ

কুড়িগ্রাম: জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ ও আষাঢ়ের শুরু হতে চললেও প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের জনজীবন। এ দাবদাহের মধ্যে প্রশান্তির পরশ পেতে সব বয়সী মানুষ ছুটছে জেলা শহর লাগোয়া ধরলা সেতু ও নদীর পাড়ে।

শুক্রবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই প্রখর রোদ আর তীব্র তাপদাহে দিনের বেলা রাস্তাঘাট থাকছে প্রায় জনশূন্য।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রখর রোদের দাপটে ঘর থেকে বের হচ্ছে না লোকজন।  

এমন তীব্র তাপদাহের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের দীর্ঘ লোডশেডিং আরও ভোগান্তিতে ফেলছে মানুষকে। বেশি ভুগতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ এবং শিশু ও বৃদ্ধদের। ধরলা সেতুতে মানুষের ভিড়।  ছবি: বাংলানিউজপ্রচণ্ড তাপদাহে জীবন যখন ওষ্ঠাগত, তখন কিছুটা প্রশান্তির পরশ পেতে বিকেল হলেই নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই ছুটছে কুড়িগ্রাম শহর লাগোয়া ধরলা সেতু ও নদীর পাড়ে।

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের আনলোড শ্রমিক মানিক মিয়া (৪৫) বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাহে গরমের ঠেলায় জীবনটা গেইল। গরমেতো বাড়ি থাকি বেরবার মোনায় না, কিন্তু প্যাটেতো আর মানে না। মনে চায় না করি, কিন্তু উপায় নাই প্যাটের দাহে গরমে কাম করি। ’

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী দু’এক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, এতে তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
এফইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।