ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ধানমন্ডি লেকে সপরিবারে মৎস্য শিকার

ফটো ও স্টোরি: মাহমুদ হোসেইন পিয়াস, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬
ধানমন্ডি লেকে সপরিবারে মৎস্য শিকার

ধানমন্ডি লেক থেকে ফিরে: ব্যবসার ফাঁকে ফাঁকে মাছ শিকারের নেশা রয়েছে রাজধানী ধানমন্ডি এলাকার ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ নাহিদ হোসেনের। বড়শি ফেলে মাছ ধরতে শনিবার সপরিবারে তিনি আসেন ধানমন্ডি লেকে।

সঙ্গে তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার, সন্তান সুমাইয়া জান্নাত, তানভির হোসেইন, রাফি ও রাহাত হোসেন।

তাদের দিনভর আয়োজন হওয়ায় সঙ্গে এনেছেন শুকনো খাবার। নাহিদ জানালেন, প্রায়ই তারা সংসদ ভবন এলাকা, সাভার, এমনকি বরিশালেও চলে যান মাছ শিকার করতে।

শনিবার ধানমন্ডি লেক কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে দুই হাজার টাকা দিয়ে একটি টিকিট সংগ্রহ করে পাঁচটি বড়শি পাতেন। কখনো কখনো নাহিদ তার গাড়ি চালককে সঙ্গে নিয়ে মাছ শিকার করেন। কোনো দিন অনেক মাছ পাওয়া যায়, কোনো দিন আবার দুটো মাছও জোটে না।

নাহিদ এবং তার গাড়ি চালক মাছ ধরেন, আর পুরো পরিবার বিষয়টি উপভোগ করে।

নাহিদ ছাড়াও আরো অনেক মাছ শিকারিকে দেখা গেলো বড়শি ফেলে মাছ ধরতে। অনেকে আবার ব্যস্ত বড়শিতে আটকা পড়া মাছ ডাঙায় তুলতে। মাছ ধরা পড়লে জালের মধ্যে সেগুলো পানিতে সংরক্ষণ করা হয়।

মাছ ধরার টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় পিঁপড়ার ডিম, পাউরুটি, চালের গুঁড়া, ধানের গুঁড়া। এগুলো একত্র করে তৈরি করা হয় টোপ।

মালিবাগের ব্যবসায়ী সাইমুম হোসেন অবসর পেলেই বড়শি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মাছ শিকারে। চিড়িয়াখানা, জাতীয় সংসদ ভবন লেক, বংশাল পুকুর, নবাববাড়ির গোলতালাব, সাভার, ধামরাই, মৌচাক, ফতুল্লা, ভুলতা ও মাওয়া ঘুরে বেড়ান মাছ শিকারের নেশায়।

তিনি বলেন, মাছ ধরা আমার নেশা। টিকিট কেটে মাছ পাওয়াটা বড় কথা নয়, মাছ ধরে তো আমরা আর বিক্রি করি না, নিজেরাই খাই। বরং মাছ বেশি পেলে স্বজনদের বাসায় দিয়ে আসতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬
এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।