ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রয়াণ সৈয়দ মুজতবা আলী

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার। ২৯ মাঘ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•    ১৫৫৬- সম্রাট আকবর মুঘল সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেন।
•    ১৭৫২- যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম হাসপাতাল হিসেবে পেনসিলভানিয়া হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন।
•    ১৭৯৪- যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের প্রথম অধিবেশন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
•    ১৯১৬- জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়ায় ইমা গোল্ডম্যান গ্রেফতার।
•    ১৯১৯- জার্মানির প্রেসিডেন্ট হিসেবে এসপিডি দলের ফ্রেডরিক এবার্ট নির্বাচিত।
•    ১৯৫৩- ইসরায়েলের সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন।
•    ১৯৫৩- গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে সাইপ্রাসের লিমাসোলে যুদ্ধ শুরু।
•    ১৯৬৪- ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তাইওয়ান।
•    ১৯৭৮- চীন সরকার অ্যারিস্টটল, শেক্সপিয়ার এবং ডিকেন্সের ওপর গবেষণা নিষিদ্ধ করে।
•    ১৯৭৯- আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনী’র নেতৃত্বে ইরানে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা।

জন্ম
•    ১৮৪৭- মার্কিন উদ্ভাবক এবং ব্যবসায়ী টমাস আলভা এডিসন।
•    ১৮৮২- বাঙালি কবি ও ছড়াকার সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
•    ১৯১৫- মার্কিন গণিতবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী রিচার্ড হ্যামিং।

মৃত্যু
•    ৬৪১- বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হেরাক্লিউস।
•    ১৯৪৮- রুশ চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চলচ্চিত্র তাত্ত্বিক সের্গে আইজেনস্টাইন।
•    ১৯৭৪- আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলী। ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের আসামের অন্তর্ভুক্ত সিলেটে তার জন্ম। তিনি ভ্রমণকাহিনীর জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনা একইসঙ্গে পাণ্ডিত্য এবং রম্যবোধে পরিপুষ্ট। তিনি ‘সত্যপীর’, ‘ওমর খৈয়াম’, ‘টেকচাঁদ’, ‘প্রিয়দর্শী’ প্রভৃতি ছদ্মনামে বিভিন্ন পত্রিকায়, যেমন- দেশ, আনন্দবাজার, বসুমতী, সত্যযুগ, মোহাম্মদী ইত্যাদিতে কলাম লিখেন। বিভিন্ন ভাষা থেকে শ্লোক ও রূপকের যথার্থ ব্যবহার, হাস্যরস সৃষ্টিতে পারদর্শিতা এবং এর মাধ্যমে গভীর জীবনবোধ ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা তাকে বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। তার একটি বিখ্যাত উক্তি হল, ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না’। সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ সরকার ২০০৫ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।