স্কটল্যান্ড, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক স্ট্রাইকার ডেলিস ল আর নেই। ৮৪ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন ব্যালন ডি'অর জয়ী একমাত্র স্কটিশ ফুটবলার।
'দ্য কিং' ও 'দ্য লম্যান' নামে খ্যাত ডেলিস ল ১১ বছর ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাটিয়েছেন। এ সময়ে ৪০৪ ম্যাচ খেলে ২৩৭ গোল করেছেন তিনি। ইউনাইটেডের ইতিহাসে ওয়েইন রুনি ও ববি চার্লটনের পরে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলস্কোরার ল।
ল'র পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় হাডার্সফিল্ড টাউনের জার্সিতে। এছাড়া তোরিনোর হয়েও খেলেছেন তিনি। নিজ দেশ স্কটল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৫৫ ম্যাচ। ৩০ গোল করে স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার তিনি।
ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনবার ব্রিটিশ রেকর্ড ট্রান্সফার ফি'তে দলবদল হয় ল'র। এর মধ্যে ১৯৬০ সালে হাডার্সফিল্ড থেকে ৫৫ হাজার পাউন্ডে ম্যানচেস্টার সিটিতে পাড়ি জমান তিনি।
এক বছর পর ১ লাখ ১০ হাজার পাউন্ডে যান তোরিনোয়। কিন্তু সেখানে মন টেকেনি তার। ১৯৬২ সালে ১ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড ট্রান্সফার ফি'তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যান ল। ১৯৭৪ সালে সিটিতে ক্যারিয়ার শেষ করেন তিনি।
ইংল্যান্ডের প্রথম ক্লাব হিসেবে ১৯৬৮ সালে ইউরোপিয়ান কাপ জেতা ইউনাইটেডের খেলোয়াড় ছিলেন ল। যদিও সেবার তার দল ৪-১ গোলে ফাইনাল জিতলেও মাঠে নামতে পারেননি তিনি। ইনজুরি নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে খেলা দেখেন।
ইউনাইটেডের জার্সিতে একবার এফএ কাপ এবং দুইবার ইংলিশ লিগ জেতার স্বাদ পেয়েছেন ল। এছাড়া স্কটল্যান্ডকে ছয়বার ব্রিটিশ হোম চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানোর পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার। ১৯৬৩ সালে স্কটল্যান্ডের হয়ে ৭ ম্যাচে ১১ গোল এবং ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেস্ট অব দ্য ওয়ার্ল্ড ম্যাচে গোল করার পর ব্যালন ডি'অর জেতেন তিনি।
ফুটবল থেকে অবসরের পর, টেলিভিশনে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন ল। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক চ্যারিটি ফুটবল এইড এবং ডেনিস ল লেগাসি ট্রাস্টের পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ল। ২০২১ সালে তার আলঝেইমার ধরা পড়ে তার। এছাড়া বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে ব্রিটিশ ফুটবলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
এমএইচএম