ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

সেমিফাইনালে শেখ রাসেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৬
সেমিফাইনালে শেখ রাসেল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: পল এমিলির দেওয়া অতিরিক্ত সময়ের গোলে রহমতগঞ্জকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠলো শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

শনিবার (১৮ জুন) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কিক অফের শুরু থেকে বেশ সন্তর্পণে খেলা শুরু করে দু’দল।

সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে দল দুটো সমানতালেই লড়তে থাকে। ফরোয়ার্ডরা বেশ ভালো খেললেও রক্ষণভাগের গড়া দেয়ালে পুরো প্রথমার্ধে ফাটল ধরাতে পারেনি কেউই।

ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিটে এদিন আমলে নেয়ার মতো আক্রমণ হয়েছে তিনটি। এরমধ্যে দুটি শেখ রাসেলের আর অপরটি ছিল রহমতগঞ্জের। বল দখলে রাখার প্রতিযোগিতায়ও এগিয়ে ছিল শেখ রাসেল। পুরো প্রথমার্ধে শতকরা ৭৫ ভাগ বলই ছিল রয়েল ব্লুজদের পায়ে।

প্রথমার্ধের পঞ্চম মিনিটে রহমতগঞ্জের মাঝমাঠের খেলোয়াড় দিদারুল আলম শেখ রাসেলের গোলবারের বাঁদিক দিয়ে জুনাপিওকে বল দিলে তিনি ডি বক্সের ভেতর থেকে গোল দিতে ব্যর্থ হন। ১৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মারুফুল হকের শিষ্যরা রহমতগঞ্জ সীমানায় বল নিয়ে প্রবেশ করলেও ফিনিশিংয়ের অভাবে ব্যর্থ হতে হয়। ক্যামেরুন মিডফিল্ডার ইকাঙ্গার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোলবঞ্চিত হয় শেখ রাসেল।

এর ১০ মিনিট পরে আবার আক্রমণে যায় আতিকুর রহমান মিশুরা। প্রতিপক্ষের গোলবারের ডানদিক দিয়ে মোনায়েম খান রাজু দৃষ্টিনন্দন এক ক্রস তুলেছিলেন, কিন্তু ফিকরু তেফেরা ক্রসটি ঠিক মতো মাথায় লাগাতে না পারলে এগিয়ে যেতে পারেনি শেখ রাসেল।

ফলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল। তবে বিরতির পর শেখ রাসেলের চেয়ে উজ্জ্বল ছিল রহমতগঞ্জ।

৬৬ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দারুণভাবে শেখ রাসেলের ডি-বক্সের ভেতরে গেলেও বিলাসি এক শট নিয়ে গোলবারের উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়।

পরের সুযোগটি আসে শেখ রাসেল শিবিরে। ৭৬ মিনিটে মোনায়েম খান রাজু আবার বল নিয়ে যান রহমতগঞ্জ সীমানায়। দারুণ এক ক্রসও তুলেছিলেন কিন্তু ফরোয়ার্ড ইকাঙ্গা বলটি মাথায় ঠিকমতো লাগাতে না পারলে  গোলের সুযোগ আবারো হাতছাড়া করে রাসেল। ৮৬ মিনিটে রহমতগঞ্জের রাজন মিয়া একক প্রচেষ্টায় শেখ রাসেলের পেনাল্টি বক্সের সামনে থেকে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের কাটিয়ে চেয়েছিলেন জালে বল জড়াতে। কিন্তু বলটি গোলবারের উপর দিয়ে চলে গেলে আবার গোলবঞ্চিত হয় রহমতগঞ্জ।

এরপর খেলার নির্ধারিত সময় শেষের মাত্র ১ মিনিট আগে সাইয়ো জুনাপিও একেবারে গোলবারের সামনে থেকেও শট নিয়েছিলেন। কিন্তু শেখ রাসেল গোলরক্ষক লিটন বলটি প্রতিহত করলে হতাশা নেমে আসে কামাল আহমেদ বাবুর শিষ্যদের মাঝে। নির্ধারিত সময়ে গোল না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের শুরু থেকেই গতিময় খেলা উপহার দিয়েছে রহমতগঞ্জ। কিন্তু ফলাফল গিয়েছে শেখ রাসেল শিবিরে। অতিরিক্ত সময়ের ১১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে পল এমিলি একক প্রচেষ্টায় রহমতগঞ্জের গোলরক্ষককে সম্পূর্ণ পরাস্ত করে জালে বল জড়ান। ফলে, ১-০ তে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল।

এরপর ম্যাচের বাকি সময় খেলায় ফিরতে চেয়েছে রহমতগঞ্জ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ  হলে সেমিফাইনালে উঠার আনন্দে ভেসে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ১৮ জুন ২০১৬
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।