ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

আরামবাগের প্রতিশোধ নাকি আবাহনীর পুনরাবৃত্তি?

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
আরামবাগের প্রতিশোধ নাকি আবাহনীর পুনরাবৃত্তি? ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: ১৯৮০ সালে মাঠে গড়ায় ফেডারেশন কাপের প্রথম আসর। এরপর গেল ৩৬ বছরে এই টুর্নামেন্টের ২৭টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৯৯৭ সালে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলেছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। সেবার আবাহনীর কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হার মেনেছিল আরামবাগ। এরপর অবশ্য আরো একবার ফাইনাল খেলেছিল তারা। সেটা ২০০১ সালে। সেবারও শিরোপা বঞ্চিত হয় অফিস পাড়ার দলটি।

 

১৫ বছর পর আবারো ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছে আরামবাগ। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী। এই ম্যাচে আরামবাগ জয় পেলে ১৯৯৭ সালের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। আর হেরে গেলে একই নাটকের পুনর্মঞ্চায়ন হবে। জিতলে হবে আরামবাগের ইতিহাসে ফেডারেশন কাপের প্রথম শিরোপা। আর আবাহনী জিতলে এটা হবে তাদের নবম শিরোপা।

সোমবার (২৭ জুন) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

ফাইনালের আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোববার (২৬ জুন) উপস্থিত হন দুই দলের কোচ, অধিনায়ক ও কর্মকর্তাগণ। উভয় দলই অবশ্য শিরোপা জেতার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আবাহনী লিমিটেডের প্রধান প্রশিক্ষক মি. জর্জ কোটান, টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রূপু ও খেলোয়াড় আরিফুল ইসলাম আরিফ। উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ দলের প্রধান প্রশিক্ষক একেএম সাইফুল বারী টিটু, টিম ম্যানেজার কাজী জলি ও অধিনায়ক মিতুল হাসান।

আরামবাগের কোচ সাইফুল বারী টিটু জানান, ‘যে দল ফাইনালে আসে তারা অবশ্য শিরোপা জেতার জন্যই মাঠে নামে। আমাদের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। তবে আবাহনী বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দল। তাদের দলে বেশ কিছু ভালো ইন্টারন্যাশনাল ও লোকাল খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের একজন ভালো কোচও রয়েছেন। আবাহনীর যোগ্যতা সম্পর্কে আমরা অবগত। সে অনুসারেই মাঠে আমরা পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করব। ’

আবাহনীর কোচ জর্জ কোটান জানান, ‘গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে হারলেও পরবর্তীতে আস্তে আস্তে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফাইনালে উঠেছে। এখান থেকে আমরা আর পেছন ফিরে তাকাতে চাই না। শিরোপা জয়ের জন্যই ছেলেরা মাঠে নামবে। লি টাক ও তপু বর্মন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছে। ছেলেরা তাদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছে। আমাদের প্রস্তুতিও ভালো। আশা করছি আগামীকাল ভালো কিছুই হবে। ’

আরামবাগের অধিনায়ক মিতুল হাসান জানান, ‘কোচ ও ক্লাবের সকল কর্মকর্তাগণ আমাদের বেশ উৎসাহিত করেছেন। কোচ আমাদের বলেছেন মেন্টালি শক্ত থাকলে অনেক কিছু করা যায়। আমরা সেভাবেই খেলে এসেছি। ফাইনালকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুত। আমরা জেতার জন্যই মাঠে নামব। ’

আবাহনীর খেলোয়াড় আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটা আমরা হেরেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে ভালো খেলে ফাইনালে এসেছি। আমাদের সব খেলোয়াড়রা ফিট আছেন। আমরা সবাই ফাইনাল খেলতে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত। ’

এর আগে ফেডারেশন কাপে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সর্বোচ্চ ১০ বার শিরোপা জিতেছে। তারা অবশ্য তিনবার যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ বার জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। তিনবার করে শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। এ ছাড়া একবার শিরোপা জিতেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

১৫ বছর পর ফাইনালে উঠেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। এবার আবাহনীকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ নিতে পারে কিনা তারা সেটাই দেখার বিষয়। ঢাকা আবাহনীও ২০১০ সালের পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিততে পারেনি। ৬ বছর আগে অতিরিক্ত সময়ে শেখ জামালকে ৫-৩ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা। এরপর আর ফেডারেশন কাপের শিরোপার মুখ দেখেনি আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। এবার তারাও শিরোপা জিততে মরিয়া।

সবকিছু মিলিয়ে এখন দেখার বিষয় আবাহনীর নবম নাকি আরামবাগের প্রথম শিরোপা জয় হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ২৬ জুন ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।