ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

আবাহনীর নবম ফেডারেশন কাপ শিরোপা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৬
আবাহনীর নবম ফেডারেশন কাপ শিরোপা  ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আরামবাগকে ১-০ গোলে হারিয়ে নবম ফেডারেশন কাপ শিরোপা ঘরে তুললো ঢাকা আবাহনী। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি অ্যান্ড্রিউ টাক।

  
 
সোমবার (২৭ জুন) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আরামবাগের বিপক্ষে শিরোপা জয়ের মিশনে বেশ আটঘাঁট বেঁধে নামে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ঢাকা আবাহনী।

দলটির রক্ষণভাগ থেকে শুরু করে মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগের ক্রীড়া নৈপুণ্য ছিল বেশ চমকপ্রদ। প্রথমার্ধের শুরু থেকেই দুর্দান্ত এক একটি আক্রমণের মূর্ছনা তুলে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষের সীমানায়।

তবে এদিন প্রথম আক্রমণটি রচনা করে আরামবাগ। প্রথমার্ধের ৪ মিনিটে আরামবাগ স্ট্রাইকার কেস্টার একন আবাহনী ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে সোজা গোল পোস্টে শট নেন। কিন্তু তাঁর শটটি গোলরক্ষক সোহেল হাত দিয়ে প্রতিহত করলে গোল বঞ্চিত হয় আরামবাগ।

ওই শেষ, এরপর পুরো প্রথমার্ধ জুড়ে আর কোন আক্রমণের দেখাই পায়নি আরামবাগ। বরং আবহনী মেতেছে আক্রমণের প্রতিযোগিতায়।
আকাশী নীলদের তেমনই এক আক্রমণ দেখা গিয়েছিল ৬ মিনিটে। আরামবাগ পেনাল্টি সীমানার একেবারে সামনে থেকে গোলবারে শট নেন সানডে সিজুবা। কিন্তু তাঁর শটটি আরামবাগ গোলরক্ষক মিতুল ফিস্ট করলে ফিরে আসে। আর ফিরে আসা বলটি হেড করে জুয়েল রানা জালে বল ঠেলতে চাইলে আবার তা চলে যায় মিতুলের নিরাপদ হাতে। ফলে গোল বঞ্চিত হয় আবাহনী।

এর ঠিক ৫ মিনিট পর আবারো আবাহনীর দারুণ এক গোছালো আক্রমণ। তবে এবার আর কোন হতাশা নয়। বল একেবারে জালে। আর এই কাজটি একাই করেছেন আবাহনীর ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি অ্যন্ড্রিউ টাক।

পেনাল্টি বক্স সীমানার কিছুটা সামনে থেকে তার বাঁ পায়ের কৌশলী শটটি গোল রক্ষক মিতুলের মাথার উপর দিয়ে চুমু খায় জালে। আর তাতেই উল্লাসের উপলক্ষ আসে আবাহনী শিবিরে। এগিয়ে যায় আবাহনী।

জর্জ কোটানের শিষ্যদের আক্রমণের শেষ এখানেই নয়। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও উপহার দিয়েছে কাঁপন ধরানো এক একটি আক্রমণ। তবে ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিং ব্যর্থতায় ওই আক্রমণগুলো গোলের মুখ না দেখলে ১-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ঢাকা আবহনী।              
   
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় দু’দলই। আবাহনী চেয়েছে ব্যবধান বাড়িয়ে শিরোপা জিততে আর আরামবাগ চেয়েছে সমতায় ফিরতে। সেই লক্ষ্যে দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম আক্রমণটি করে আবাহনী।


 
৪৮ মিনিটে আরামবাগের পেনাল্টি সীমানার ভেতরের জটলা থেকে দারুণ এক ক্রস তুলে ছিলেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। আর সেই ক্রস থেকে মাথার জোড়ালো হেডে সানডে সিজুবা জালে বল ঠেলতে চাইলে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক মিতুল।    
পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে গিয়ে আরামবাগের জাফর ইকবাল একাই চেয়েছিলেন সমতার নায়ক হতে। কিন্তু তার কিছুটা দুরপাল্লার শটটি আবাহনী গোলরক্ষক সোহেল প্রতিহত করলে এই যাত্রায় ব্যর্থ হয় কোচ সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।

জাফর ইকবালের পর ৫৬ মিনিটে আরামবাগ ফরোয়ার্ড আবু সুফিয়ান সুফিলের ডান পায়ের শটটি পোস্টে লেগে ফিরে আসলে আরেকবার হতাশা ফেরে আরামবাগ শিবিরে।

এখানেই থামেনি আরামবাগ। শিরোপা লড়াইয়ে ফিরতে আক্রমণ চালিয়ে গেছে দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। কিন্তু আবাহনীর রক্ষণ দূর্গে তারা এতটুকু ফাটল ধরাতে না পারলে ম্যাচ শেষে শিরোপা হারের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

আর আবাহনী মাতে ৬ বছর পর মৌসুমের প্রথম ও নবম ফেডারেশন কাপের শিরোপা জয়ের উল্লাসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ২৭ জুন ২০১৬
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।