ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মোহনবাগানকে হারিয়ে ফাইনালে তেরেঙ্গানু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
মোহনবাগানকে হারিয়ে ফাইনালে তেরেঙ্গানু

গ্রুপ পর্বে একটিও ম্যাচ না হেরে সেমিফাইনালে পা রেখেছিল মালেয়শিয়ার ক্লাব তেরেঙ্গানু। সেমিফাইনালেও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে পা রেখেছে মোহাম্মদ বিন মোহাম্মদ ফোদজির শিষ্যরা। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) টুর্নামেন্টের একমাত্র ভেন্যু চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে লি টাকের হ্যাটট্রিকে তেরেঙ্গানু ৪-২ ব্যবধানে জয় পেয়েছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দল মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিপক্ষে।

বাঁচা-মরার সেমিতে ম্যাচের শুরু থেকে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দু’দল। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ শাণালেও কেউ কারও রক্ষণ দেয়ালে ফাটল ধরাতে পারছিল না।

সেই অসম্ভব কাজটিই করেন লি অ্যান্ড্র টাক। যিনি গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে। এবার মোহনবাগানের বিপক্ষে সেমিতে এসেও করলেন হ্যাটট্রিক। এই নিয়ে টানা দুই হ্যাটট্রিকে ৬ গোল নিয়ে টুর্নামেন্টের গোলদাতাদের শীর্ষে ওঠে গেলেন আবাহনী লিমিটেডের সাবেক এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।

৩৮ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে নিচু শট নেন লি টাক। তার বুদ্ধিদীপ্ত শট রুখতে ব্যর্থ হোন মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। এরপর গোল শোধে মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায় মোহনবাগান। ৪৫ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ হাত ছাড়া করে বিরতিতে যায় কিবু ভিকুনার দল।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই গোলের দেখা পায় মোহনবাগান। ৪৬ মিনিটে পেনাল্টি শট থেকে দলকে সমতায় ফেরান মিডফিল্ডার ফ্রান্সিসকো হাভিয়ের গঞ্জালেস মুনোজ। ৪৮ মিনিটে ব্রুনো সুজুকি ক্ষিপ্র গতিতে ওঠেও তেরেঙ্গানুকে এগিয়ে দিতে পারেননি। ৫৫ মিনিটে গোলের সুযোগ হারায় মোহনবাগানও।

৫৯ মিনিটে আবারও ফ্রি-কিক পায় তেরেঙ্গানু। শট নিতে আসেন লি টাক। এবারও ডান পায়ের জোরালো শটে দেবজিৎকে বোকা বানিয়ে তেরেঙ্গানুকে এগিয়ে দেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসির মতো দেখতে এই ইংলিশ তারকা। আবারও লি টাকের গোলের জবাব গোল করেই দেন হাভিয়ের গঞ্জালেস মুনোজ। ৬১ মিনিটে সতীর্থের ফ্রি-কিক থেকে নেওয়া শটে হেডে তেরেঙ্গানুর জালের বল জড়িয়ে দেন এই মোহনবাগান মিডফিল্ডার।

৭৪ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় তেরেঙ্গানু। ক্ষিপ্র গতিতে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন শফিক বিন ইসমাইল। তাকে রুখে দেওয়ার জন্য কেউ ছিলেন না। কোনাকুনি শটে দেবজিৎকে পরাস্ত করেন শফিক। এরপর গোল শোধের জন্য মোহনবাগানের রক্ষণভাগও ওঠে আসে আক্রমণভাগে। সেই সুযোগে ৭৭ মিনিটে সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে মোহনবাগনের ডি-বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন ব্রুনো সুজুকি। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের সামনে তখন কেবল দেবজিৎ। কিন্তু শট নেওয়ার আগেই দেবজিৎ ফাউল করে বসেন ব্রুনোকে।

এবার পেনাল্টি শট নিতে আসেন লি টাক। ডান পায়ের শটে দেবজিৎকে আরেকবার বোকা বানাতে সময় নিলেন না তিনি। ডান পায়ে মাটি ঘেঁষা শট নিয়ে বল মোহনবাগানের জালে জড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের আনন্দে মেতে ওঠেন লি টাক।

বাকি সময় গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে লড়াই করে মোহনবাগান। কিন্তু তেরেঙ্গানুর রক্ষণভাগের বাধা পার হতে পারেনি তারা। উল্টো রেফারির শেষ বাঁশি বাজার শেষ মুহূর্তে পঞ্চম গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা পায় দেবজিৎরা।

দুর্দান্ত এই জয়ে ফাইনালে পা রেখেছে তেরেঙ্গানু। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের তৃতীয় আসরের ফাইনালে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টেবর) সন্ধ্যা ৬টায় শিরোপা লড়াইয় মুখোমুখি হবে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী ও তেরেঙ্গানু।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।