ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ওমিক্রন রোধে সরকারি বিধি-নিষেধ অপরিকল্পিত: ডা. লিয়াকত

রেজাউল করিম রাজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
ওমিক্রন রোধে সরকারি বিধি-নিষেধ অপরিকল্পিত: ডা. লিয়াকত অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে সরকার ১১ দফা বিধি-নিষেধ জারি করেছে।  এই ১১ দফা বিধি-নিষেধকে অপরিকল্পিত এবং দায়সারা বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসাবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বর্তমানে দেশব্যাপী করোনা মহামারির ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সরকারের দেওয়া ১১ দফা বিধি-নিষেধ কতোটা বাস্তবসম্মত জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নযোগ্য কিনা, কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, বিষয়গুলো খুব পরিকল্পিতভাবে হয়েছে বলে মনে হয় না। প্রথম নির্দেশনায় বলা হচ্ছে দোকান, শপিং-মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। আবার দ্বিতীয় নির্দেশনায় বলা হচ্ছে, বাড়ির বাইরে মাস্ক না পরে গেলেই জরিমানা করা হবে। এক্ষেত্রে একটা বললেই তো হয় যে, বাড়ির বাইরে গেলেই মাস্ক পরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাড়ির বাইরে উন্মুক্ত স্থানে একজন লোক হাঁটছে, তাকে যদি জরিমানা করা হয়, সেটা ঠিক হবে না। বদ্ধ স্থানেই বেশি সমস্যা। খোলা আকাশের নিচে মুক্ত স্থানে বেশি ঝুঁকি নেই। বদ্ধ জায়গার সভা-সমাবেশ কিংবা গণজমায়েত আগে বন্ধ করতে হবে। বদ্ধ জায়গায় সভা সমাবেশের বিষয়ে নির্দেশনা থাকতে হবে। তা না করে উন্মুক্ত স্থানে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হলো। বদ্ধ স্থানে সভা-সমাবেশের বিষয়ে কোনো নির্দেশনাই দেওয়া হলো না। এই বিষয়গুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এ চিকিৎসাবিজ্ঞানী বলেন, রাস্তায় কারা মাস্ক পরে বের হলো, এতোগুলো লোককে কিভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। সাধারণ একজন রিকশাওয়ালা কিংবা খেটে খাওয়া একজন মানুষ যেসব রেস্টুরেন্টে খায়, সেখানে কিভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে তার কিছুই বুঝতে পারছিনা।

ডা. লিয়াকত বলেন, আমাদের দেশে সবসময় জন-সম্পৃক্ততা সৃষ্টির যে কৌশল সেটা উপেক্ষিত। স্থানীয় কমিটিগুলোকে সক্রিয় করা, যারা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে তাদের সক্রিয় করা। এসব বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই, আছে শুধুই প্রশাসন আর প্রজ্ঞাপন। পাবলিক হেলথের কোনো কনসেপ্ট এভাবে বাস্তবায়ন করা যায় না। এটা হয়তো আংশিক সফল হবে, পুরোপুরি সফল হবে না। বাণিজ্যমেলা খোলা থাকবে, নির্বাচন বন্ধ হবে না, তাহলে তো হবেনা। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা দায়সারা গোছের, কিছু একটা করতে হবে তাই করলাম বিষয়টা এমন। নির্দেশনা বাস্তবায়নযোগ্য না হলে জনগণের আস্থা কমে যায়। নির্দেশনাগুলো আরও সতর্কতার সঙ্গে সমন্বিতভাবে করা উচিত ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
আরকেআর/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।