ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

ব্যাংকের লকারের টাকা খেল উইপোকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
ব্যাংকের লকারের টাকা খেল উইপোকা

ব্যাংকের লকারে আক্রমণ করল উইপোকা। সেখানে রাখা ২ লাখ ১৫ হাজার রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা) কেটেকুটে নষ্ট করে দিল।

 

এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে। ওই ব্যাংকের একটি লকারে নিজের গচ্ছিত অর্থ রাখেন সুনিতা মেহতা নামের এক গ্রাহক। সম্প্রতি তিনি ব্যাংকে গিয়ে নিজের সেই লকার খুলে মাথায় হাত।  

টাকার ওপরে উইপোকা কিলবিল করছে। বান্ডিলগুলিও আর আগের অবস্থায় নেই। সেগুলো কেটেকুটে এমন অবস্থা হয়েছে যে আর ব্যবহারই করা যাবে না।

ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, ফ্যাব্রিকের ব্য়াগে রাখা ছিল ২ লাখ টাকা। যেখানে ১৫ হাজার টাকা রাখা হয়েছিল ব্যাগের বাইরে। সেই টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন সুনিতা। আর ব্যাগে রাখা ২ লাখই গেল উইপোকার পেটে।

বিষয়টি ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের গাফিলতি জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সুনীতা।  

অভিযোগ বলা হয়, ব্যাংকে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আর সেকারণে লকারে রাখা জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। প্রায় ২০ থেকে ২৫টি লকারে উইপোকার আক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। লকারে রাখা জিনিসপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ব্যাংকের দায়িত্ব।

ঘটনাটি জানাজানি হতেই গেল শুক্রবার ওই ব্যাংকে গিয়ে জড়ো হন অন্যান্য সব গ্রাহকরা। তাদেরও একই অভিযোগ, ব্যাংকের গাফিলতির কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া ব্যাংকে পেস্ট কন্ট্রোলেরও কোনো ব্যবস্থাও নেই। এমনিতে লকারে কোনো গ্রাহক টাকা রাখলে তার দায়িত্ব গ্রাহককেই নিতে হয়।

এদিকে লকারের চারপাশে কীটনাশক ছড়িয়ে দিয়েছেন ব্যাংক ম্য়ানেজার এবং বাকি গ্রাহকদের তাদের লকার খুলে সবকিছু পরীক্ষা করে নিতেও অনুরোধ করেছেন তিনি।  

ওই ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক প্রবীণ কুমার যাদব বলেছেন, মুদ্রা নষ্ট হওয়ার তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সমস্যাটির সমাধানে ওই গ্রাহককেও ব্যাংকে ডাকা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।