ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ত্রিপুরায় আক্রান্ত কর্মীর বাড়িতে বিজেপি নেতারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
ত্রিপুরায় আক্রান্ত কর্মীর বাড়িতে বিজেপি নেতারা

আগরতলা (ত্রিপুরা, ভারত): ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট গ্রহণ শেষ হলেও গণনা এখনো বাকি রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যেই রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সব জায়গা থেকেই নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এবং বিরোধী উভয় শিবির থেকেই করা হচ্ছে এ অভিযোগ। নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এলাকাগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে সিপাহীজলা জেলার বিশালগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখন প্রায় প্রতিদিনই সেখানকার বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘরে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছেন বলে বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরা অভিযোগ করছেন।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিশালগড়ের সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এনসি নগর এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ওবিসি মোর্চার সভাপতি অ্যাডভোকেট সমীর ঘোষ, দলের সিপাহী জেলার প্রভারী মৌসুমী দাসসহ অন্যান্যরা। এদিন তারা আক্রান্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে যান এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। সেই সঙ্গে তাদেরকে আশ্বস্ত করে জানান, এই কঠিন সময়েও দল আক্রান্তদের পাশে রয়েছে, দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

পরিদর্শন শেষে জসিম উদ্দিন বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের পর কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের নেতারা বুঝতে পারছেন তাদের হার নিশ্চিত। এই অবস্থায় তারা আতঙ্কিত হয়ে রাজ্যজুড়ে বিজেপির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন। এই এলাকায় বিজেপির এক নেতা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। রড-লাঠি নিয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণ চালানো হয়। কংগ্রেস নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের হার নিশ্চিত, তাই  রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে আসেননি। একইভাবে ত্রিপুরার সিপিআইএম নেতা মানিক সরকার, মানিক দেসহ অন্যান্যরা ভোটের আগেই বুঝেছিলেন তাদের পরাজয় নিশ্চিত। তাই তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এই পরিস্থিতিতেও দলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে বিরোধীরা আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছেন। গণনার দিন বিরোধীরা কাউন্টিং এজেন্টও দিতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই ধরনের রাজনীতিকে তিনি ধিক্কার জানান।

প্রদেশ নেতৃত্বের নির্দেশে তারা এদিন ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তারা আগরতলা ফিরে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য এবং মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবেন বলেও জানান। পাশাপাশি রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান রাখেন শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
এসসিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।