ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

সোনিয়ার অনুরোধে নৈশভোজে থেকে গেলেন মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
সোনিয়ার অনুরোধে নৈশভোজে থেকে গেলেন মমতা

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই প্রচার সেরে ফেরার পথে কোমরে ও বাম হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনকয়েক আগে অস্ত্রোপচারও হয়েছিল তার।

এমন অবস্থায় সোমবার (১৭ জুলাই) বিরোধী রাজনৈতিক দলের বৈঠকে যোগ দিতে বেঙ্গালুরুতে গেছেন মমতা। যদিও চিকিৎসকের পরামর্শ ছিল ভিড় এড়িয়ে চলা। আর সে কারণে সোনিয়ার দেওয়া নৈশভোজের দাওয়াতে থাকবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা।  

তবে সোনিয়াকে প্রকাশ্যে না করতে পারলেন না মমতা। সোনিয়ার অনুরোধে নৈশভোজে থেকে গেলেন মমতা। এমনকি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ঠিক পাশের চেয়ারটিতেই বসে থাকতে দেখা যায় মমতাকে। অর্থাৎ একসময় যাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধ নিয়ে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বেঙ্গালুরুর বৈঠকে প্রথমদিনেই তা যেন উধাও, যা রাজনৈতিক মহলের কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তা সম্ভব হয়েছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদিবিরোধী জোটকে শক্ত করতেই। আর সে কারণেই এ দূরত্ব ঘুচলো দুই নেত্রীর। এমনটাই মনে করছেন বিশিষ্ট মহল।

প্রসঙ্গত, ভারতের সবকটি রাজনৈতিক দলের পাখির চোখ এখন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। সেই ভোটের আগে বিজেপিবিরোধী শক্তিতে শান দিতেই বিরোধীরা একজোট হওয়ার চেষ্টা করছিল। যার অন্যতম প্রধান ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তৃণমূল প্রধানই বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছিল। আর যে কারণে চলতি বছরের ২৩ জুন বিহার রাজ্যের পাটনায় একপ্রস্ত বৈঠকও হয়ে গেছে। সেই বৈঠকে ছিলেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, রাহুল গান্ধীসহ মোট ১৭টি রাজনৈতিক দলের প্রধানরা। তবে সেই বৈঠকে ছিলেন না কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

এবার ১৭ ও ১৮ জুলাই সোনিরার ডাকে বেঙ্গালুরুতে মোদিবিরোধী ২৪ দল একত্রিত হয়েছে। সেই বৈঠকের আগের রাতে অর্থাৎ সোমবার বিশেষ নৈশভোজের আয়োজনও করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। অপরদিকে এ ‘মহাজোট’-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। সে কারণে সম্ভবত সোনিয়া আর তার সঙ্গে দ্বন্দ্বে যেতে চাইছে না। তাই এ অনুরোধ। আবার মমতাও এটা ভালো করে বোঝেন বিরোধী জোটে কংগ্রেসের গুরুত্ব অপরিসীম। সে কারণেই হয়তো প্রথমে না বললেও পরে সোনিয়ার দাওয়াতে থেকে গেলেন মমতা। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

সোমবার বৈঠকের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইট করে জানিয়েছেন, আলোচনা যথেষ্ট ইতিবাচক। ঐক্যবদ্ধভাবেই দেশের হিতে ও বিজেপির দুর্নীতি বিরুদ্ধে কাজ করতে চায় বিরোধীরা। ১৮ জুলাই ফের বৈঠকে বসবে ২৪টি বিরোধীদল। সেখানেই চব্বিশের লড়াইয়ের রোডম্যাপ তৈরি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
ভিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।