ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আরজি করে হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে কাশ্মীরের স্বাধীনতার স্লোগান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৪
আরজি করে হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে কাশ্মীরের স্বাধীনতার স্লোগান

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এখনো ভারতজুড়ে আন্দোলন জারি রয়েছে। সেই আন্দোলনে উঠছে নানারকম স্বর ও স্লোগান।

এবারে নির্যাতিতার হত্যার প্রতিবাদের মিছিলে কলকাতার যাদবপুরে উঠল ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান অর্থাৎ স্বাধীনতা চাইছে কাশ্মীর।

দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর চিরকালই বাম দুর্গ বলে পরিচিত। সেখানে যেমন রয়েছে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সিপিআইএম পার্টি, তেমন আছে অতি বাম সংগঠনগুলো। যাদের ভারতীয় ভাষায় বলা হয় নকশালপন্থি বা মাওবাদী। সেই অতি বামেরা আরজি কর ঘটনার হত্যার প্রতিবাদে তুলল কাশ্মীরের স্বাধীনতার স্লোগান, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে গোটা ভারতে। নড়েচড়ে বসেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) যাদবপুরে রাতদখল কর্মসূচি পালন করেছিল একদল তরুণ-তরুনী। হত্যার প্রতিবাদে সরব হন তারা। তারই মধ্যে তারা স্লোগান তোলেন ‘মাঙ্গ রাহা হ্যায় হিন্দুস্তান, কাশ্মীরকা আজাদি/ আজাদি আজাদি, কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ অর্থাৎ ভারতবাসী কাশ্মীরের স্বাধীনতা চাইছে। সামনে তখন দাঁড়িয়ে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।

পুলিশের সামনে কারা এই স্লোগান তুলল এবং তারা কোন দলের সমর্থক তাই নিয়ে নড়চড়ে বসেছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববারের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর তথ্যানুসন্ধান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তারা একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তবে সেই রিপোর্টে কী আছে, তা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কী করে কলকাতা পুলিশের সামনেই এ ধরনের স্লোগান ওঠে, তাই নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, বহুদিন ধরে আমরা বলে আসছি, রাজনৈতিক পতাকাবিহীন চিকিৎসক এবং সাধারণদের আন্দোলন একদল হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনে এসব করছে। উদ্দেশ্য একটাই, ওরা জানে এই ধরনের স্লোগান উঠলে সাধারণ মানুষ পিছিয়ে আসবে। সাধারণ মানুষ এসব দাবি-দাওয়া সমর্থন করে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনেই অতি বামেরা এসব করছে, যাতে সাধারণ মানুষ এই আন্দোলন থেকে সরে যায়। এরা পক্ষান্তরে ছদ্মবেশী বামপন্থি। আসলে এরা তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী। তাই পুলিশ এদের কিছু বলবে না।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, পুলিশ এদের কিছুই বলবে না। কারণ স্লোগান যারা তুলেছে তারা সবাই মমতা ব্যানার্জির চাষ করা লোক। পশ্চিমবঙ্গে যারা দেশবিরোধী, রাষ্ট্রদ্রোহী তাদের আমাদের মুখ্যমন্ত্রী লালন পালন করে রেখেছেন। এটা একটা অপচেষ্টা। এ ধরনের স্লোগান বহুত্ববাদে বিশ্বাসী ভারতের ক্ষেত্রে বেমানান।

অভিনেতা ও বিজেপি বিধায়ক হিরণ বলেছেন, এসব সংগঠন ভারতবর্ষকে টুকরো করার চেষ্টা করে। এ ধরনের স্লোগান এর আগে দিল্লির জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটিতে উঠত। যারা এই স্লোগান তুলছে তারা পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টনার। এদের সবাইকে নিয়েই তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। ওদের কাজই হলো, ভারতবর্ষকে টুকরো করে দেওয়া। ফলে সেই লক্ষ্যেই ওরা এগোচ্ছে। আর আমরা ভারতবর্ষকে জোড়ার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।