ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইরানে থানায় হামলা, পুলিশ-হামলাকারীসহ নিহত ৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
ইরানে থানায় হামলা, পুলিশ-হামলাকারীসহ নিহত ৬ ছবি: সংগৃহীত

ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি পুলিশ স্টেশনে বন্দুকধারী ও আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও চার হামলাকারী রয়েছে।

শনিবার (৮ জুলাই) এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম আইআরআইবি বলেছে, হামলায় দুই পুলিশ সদস্য ও চার হামলাকারী নিহত হয়েছে।

আইআরআইবি প্রদেশের নিরাপত্তা উপ-প্রধান আলিরেজা মারহামতির বরাতে জানায়, প্রাদেশিক রাজধানী জাহেদানের ১৬ নম্বর থানায় চার অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তি প্রবেশ করে হামলা চালায়। হামলাকারীরা থানার গেট খুলে গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি চালায়।

সিস্তান-বেলুচিস্তান পুলিশ প্রধান দৌস্তালি জালিলিয়ানের বরাত দিয়ে তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পরবর্তী সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে।

এদিকে, পুলিশের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে আরেকটি সংবাদ মাধ্যম জানায়, অভিযানে ৩ হামলাকারী নিহত হয়েছে।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের একটি শাখার বরাত দিয়ে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব ইরানে হামলায় জড়িত চার সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী সিস্তান-বেলুচিস্তান ইরানের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ এবং মাদক পাচারের প্রধান রুট।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, সংখ্যালঘু বেলুচ, যাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০ লাখ, তারা কয়েক দশক ধরে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার।

২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীদের হত্যার পর থেকে জাহেদানে প্রতি সপ্তাহে বিক্ষোভের দৃশ্য দেখা গেছে। এমনকি দেশের অন্যান্য অংশে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরও সেখানে বিক্ষোভ অব্যাহত।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, বিক্ষোভকারীদের দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ৬৬ জনকে হত্যা করেছে। এরপর জাহেদানের পুলিশ কমান্ডার ও একজন থানা প্রধানকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ ৩০ সেপ্টেম্বরের গুলির ঘটনার সূত্রের জন্য জইশ আল-আদল বা আর্মি অব জাস্টিসকে নামে জঙ্গি সংগঠনকে দায়ী করেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি পাকিস্তানের আশ্রয়ে থেকে ওই জঙ্গি সংগঠন নিরাপদে বিক্ষোভকারীদের মদদ দিয়ে আসছিল। যদিও জইশ আল-আদল বা অন্য কোনো গোষ্ঠী এর দায়-দায়িত্ব তখন স্বীকার করেনি।

সূত্র: আল-আরাবিয়া নিউজ

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।