মানসুর শোমান, গাজা সিটির বাসিন্দা। শনিবার নিজ শহর ছেড়ে চলে যান খান ইউনিসে।
আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, আমি গতকাল এসেছিল। পুরোটা পথ ছিল বিপজ্জনক। বেশ কয়েকবার বোমা হামলা হয়েছিল। আমাদের মাথার ওপর দিয়ে ড্রোন উড়ছিল।
তিনি বলেন, এখানে যে চরম মানবিক সংকট চলছে, তাতে আমি সাহায্য করার জন্য এসেছি। নাসের হাসপাতালের কাছেই আমি আছি। নাসের হাসপাতাল হলো খান ইউনিসের প্রধান হাসপাতাল।
মানসুর শোমান বলেন, হাসপাতালের আশেপাশে শুধু বোমাবর্ষণ চলছে। আমরা এর মধ্যেই আছি। হাসপাতালে তিনজন শহীদকে আনা হয়েছে।
এই হাসপাতালের কাছে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) বেশ কয়েকটি ভবনে হাজারো শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই উত্তর গাজার।
ইসরায়েল গাজার উত্তর অংশ থেকে ১১ লাখ বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর লাখ লাখ লোক এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। স্থল অভিযান চালানোর জন্যই ইসরায়েলের এই নির্দেশ।
রোববার (১৫ অক্টোবর) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২ হাজার ৩২৯ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এর মধ্যে ৭২৪ জন শিশু। আর আহত হয়েছেন ৯ হাজার ৭০০ বাসিন্দা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
আরএইচ