প্রবল শীত আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তর ভারতের একটি বড় অংশ। দিল্লি বিমানবন্দরে একের পর এক ফ্লাইটের সময় বদলাচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের হিসাব হলো, দিল্লিতে ১৩৪টি ফ্লাইটের সময় বদলেছে। এর মধ্যে ২৮টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট দিল্লিতে আসছিল। ৩৫টি ফ্লাইট দিল্লি ছেড়ে যাচ্ছিল। দেশের ভেতর চলাচলের ক্ষেত্রে ৪৩টি ফ্লাইট দিল্লি ছেড়ে যাচ্ছিল এবং ২৮টি দিল্লিতে আসছিল।
বিমানবন্দর জানিয়েছে, সময় সময় দৃশ্যমানতা শূন্যে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে দিল্লি অভিমুখে আসা উড়োজাহাজকে ঘুরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। দিল্লি বিমানবন্দরে দাঁড় করিয়ে রাখতে হচ্ছে বহু উড়োজাহাজকে। চাপ বাড়ছে বিমানবন্দরের ভেতর। বহু যাত্রী ফ্লাইটের অপেক্ষায় বসে আছেন।
একই অবস্থা রেল স্টেশনেও। বৃহস্পতিবার ২২টি ট্রেন বিলম্বিত হয়েছে। কোনো কোনো ট্রেন ২৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। মাঝ রাস্তায় কুয়াশার কারণে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে বহু ট্রেন।
এ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন কুয়াশা কাটার কোনো সম্ভাবনা নেই। বস্তুত, কুয়াশা নিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সঙ্গে জানানো হয়েছে, শৈত্যপ্রবাহ চলতে থাকবে। দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে এমন অবস্থা থাকবে।
কুয়াশা বাড়লেও দিল্লির বায়ু দূষণের পরিমাণ গত কয়েকদিনে কিছুটা নেমেছে। একিউআই ৩৫০ এর আশপাশে আছে। এক সপ্তাহ আগেও যা প্রায় ৪০০-র কাছাকাছি ছিল।
পাঞ্জাব-হরিয়ানায় এমন কুয়াশা আরও অন্তত পাঁচদিন থাকবে বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সতর্কতা জারি করেছে। এর ফলে হাইওয়েগুলোতেও গাড়ির যানজট তৈরি হয়েছে। প্রায় প্রতিটি এক্সপ্রেসওয়েতে সতর্কতা জারি হয়েছে। গাড়ির ইমার্জেন্সি লাইট জ্বালিয়ে চালানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। বড় কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
আরএইচ