মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মী ও অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জেনারেল টিন ওও মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
শনিবার (১ জুন) সকালে ইয়াংগুনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় টিনের।
তিনি সাবেক প্রভাবশালী নেতা নে উইনের অধীনে সেনাবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের চক্রান্তের তথ্য গোপন করার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৮৮ সালে সাবেক জান্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের পর তিনি গণতন্ত্রপন্থী এনএলডির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেন। ধীরে ধীরে সুচির আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি।
টিনের ব্যক্তিগত একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেন। তবে, কেন, কীভাবে সুচির ঘনিষ্ঠ এ নেতা মারা গেছেন; সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।
১৯৮৮ সালের বিক্ষোভের পরে টিন ওও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সামরিক বাহিনীর হাতে আটক ছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি হৃদক্রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বার্ধক্য ও দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে রাজনীতি ছাড়েন টিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৪
এমজে