গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর এ যুদ্ধ শুরু হয়।
সংঘাতে শিশুদের ক্ষতি বিবেচনায় চলতি মাসের শুরুতে জাতিসংঘ ইসরায়েলকে কালো তালিকাভুক্ত করে। সোমবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন গাজায় নিখোঁজ শিশুদের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানায়।
সংস্থাটি বলছে, অনুমান করা হচ্ছে, গাজায় ২১ হাজার শিশু হারিয়ে গেছে অথবা নিখোঁজ হয়েছে, আটক হয়েছে কিংবা ইসরায়েলের অভিযানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
গাজায় শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের কথা তুলে ধরছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠন। সেভ দ্য চিলড্রেন সবশেষ এত শিশু নিখোঁজ হওয়ার তথ্য তুলে ধরল।
গত বছরের নভেম্বরে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বলে আখ্যা দিয়েছিল। চলতি বছরের মে মাসে ইউনিসেফ বলেছিল, গাজায় শিশুদের জন্য নিরাপদ কোনো স্থান নেই। শিশুরা যুদ্ধে সর্বোচ্চ মূল্য দিচ্ছে। জুন মাসে ইউনিসেফ জানায়, গাজায় ৯০ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে এবং তাদের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঝুঁকিতে রয়েছে।
একই মাসে জাতিসংঘ প্রধান সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের অধিকার গুরুতরভাবে লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের নাম লজ্জার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি বলেন, পূর্ব জেরুজালেমসহ গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী নজিরবিহীনসংখ্যক শিশুকে হত্যা করছে এবং পঙ্গু করছে। এতে তিনি বিস্মিত।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, গাজায় তীব্র অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা ৫০ হাজারেরও বেশি শিশুর দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৪
আরএইচ