গাজা যুদ্ধে আটক কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এর মধ্যে একটি উপত্যকাটির প্রধান একটি হাসপাতালের পরিচালকও রয়েছেন।
ইসরায়েল সোমবার ৫৫ বন্দিকে মুক্তি দেয় কারাগারের জায়গা ফাঁকা করতে। অসমর্থিৎ একটি প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়েছে।
মুক্তির পর গাজার আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, ফিলিস্তিনি বন্দিরা ইসরায়েলি কারাগারে প্রতিদিনই নির্যাতনের শিকার হতেন।
গত বছরের ৭ অক্টোরর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। সেই থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে দেশটি। ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টিং করপোরেশন এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলের কারাগার বন্দিতে ভরে গেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছিল, সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-শিফা হাসপাতালকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। পরে তিনি গ্রেপ্তার হন। এ চিকিৎসক বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
সাত মাসের বেশি সময় ধরে আটক থাকার পর মুক্তি পেয়ে এ তিনি বলেন, বন্দিদের বন্দিদশায় প্রতিদিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কারাগারে আমাদের বন্দিদের সব ধরনের নির্যাতন করা হয়। প্রতিদিনই নির্যাতন। সেল ভেঙে বন্দিদের পেটানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন বন্দি মারা যান। বন্দিদের খাবার ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়।
কথিত নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে আবু সালমিয়া বলেন, রক্ষীরা তার আঙুল ভেঙে ফেলেন এবং লাঠি দিয়ে মারধর করেন এবং কুকুর লেলিয়ে দেন।
চিকিৎসাকর্মীদেরও তিনি নির্যাতনের জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, দুর্বল চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে কিছু বন্দির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও কেটে ফেলা হয়।
বন্দিদের কম খাওয়ানো হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই মাস ধরে প্রতিদিন একটি রুটির বেশি আর কিছুই পাওয়া যায়নি। বন্দিদের ৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমেছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ভুল চিকিৎসার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তারা এর আগে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
কারাগারে জায়গা না হওয়ায় আবু সালমিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটি অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি প্রিজন সার্ভিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুলাই, ২০২৪
আরএইচ