ঢাকা, সোমবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় যুক্তরাষ্ট্রের পোয়াবারো, রেকর্ড অস্ত্র বিক্রি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় যুক্তরাষ্ট্রের পোয়াবারো, রেকর্ড অস্ত্র বিক্রি

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি ২০২৪ সালে ২৯ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৩১৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এমনটি জানিয়েছে।

 

আর গাজায় গণহত্যার অভিযোগ ওঠার পরও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে ১৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দামে জেট বিমান বিক্রি করেছে। খবর আল জাজিরার।

বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছরের অস্ত্র বিক্রির পরিসংখ্যান শুক্রবার প্রকাশিত হয়। বাড়ন্ত বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই এই পরিসংখ্যান সামনে এলো।

২০২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর সরাসরি সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি ১৫৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

আর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মাধ্যমে বিক্রি আগের বছরের ৮০ দশমিক  ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ১১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, অস্ত্র বিক্রি এবং হস্তান্তরকে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়, যা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।

২০২৪ সালে অনুমোদিত সরঞ্জাম বিক্রির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল তুরস্কের সামরিক বাহিনীর জন্য ২৩ বিলিয়ন ডলারের এফ-১৬ জেট বিমানসহ অন্যান্য সরঞ্জাম, ইসরায়েলের জন্য ১৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান এবং রোমানিয়ার জন্য আড়াই বিলিয়ন ডলারের এম১এ২ আব্রামস ট্যাঙ্ক।

পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখে এবং মিত্র ও অংশীদারদের কাছে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের যথোপযুক্ততা নির্ধারণে রাজনৈতিক, সামাজিক, মানবাধিকার, বেসামরিক সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক ও সামরিকসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাভিত্তিক সংস্থা প্রোপাবলিকা তাদের প্রতিবেদনে বলছে, বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে স্পষ্ট সতর্কবার্তাগুলো উপেক্ষা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন সত্ত্বেও দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ অনুমোদন অব্যাহত রাখেন।

মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ এবং এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাবেক কর্মকর্তারা বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থায়নের অভিযোগ তুলেছেন।

অন্যদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে বেড়ে যাওয়া অস্ত্রের চাহিদা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররা চাপের মুখে রয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়গুলো তাদের মজুত বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নিতে লাইন দিয়ে আছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেও সামরিক মজুত ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছে। তাদের এসব সরঞ্জাম রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে কিয়েভকে দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।