ঢাকা, শনিবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হামলার পর প্রথম গির্জায় লঙ্কানরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
হামলার পর প্রথম গির্জায় লঙ্কানরা

ঢাকা: শ্রীলঙ্কায় পুনরায় হামলার আশঙ্কায় টানা দুই সপ্তাহ বাতিলের পর তৃতীয় সপ্তাহে এসে গির্জাগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববারের প্রার্থনা।

রোববার (১২ মে) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

জানা যায়, হামলার পর তৃতীয় সপ্তাহে এসে কড়া নিরাপত্তায় গির্জাগুলোতে রোববারের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রত্যেকটি গির্জার বাইরেই পর্যাপ্ত পরিমান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া প্রধান গির্জাগুলোর প্রবেশ পথেও রয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। যারা গির্জাগুলোতে এসেছে, তাদের প্রত্যেককেই তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হয়েছে। সবাইকেই নিজেদের পরিচয়পত্র সঙ্গে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া গির্জাগুলোর কাছে গাড়ি পার্কিংয়েও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

গির্জাগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দলও কাজ করছে।

শ্রীলঙ্কায় একদিনেই গির্জা ও হোটেলে কয়েক দফা ভয়াবহ হামলার পর ফের হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এরই জেরে টানা দুই সপ্তাহ গির্জাগুলোতে রোববারের প্রার্থনা বাতিল করা হয়।

পরবর্তীতে ৭ মে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা বলেন, শ্রীলঙ্কায় কয়েক দফা ভয়াবহ হামলার সন্দেহভাজন হামলাকারীদের মধ্যকার ৯৯ শতাংশকেই ইতোমধ্যে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। সেসঙ্গে তাদের কাছে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্যও জব্দ করা হয়েছে। তাই বর্তমানে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ এ দ্বীপরাষ্ট্রটি।

গত ২১ এপ্রিল (রোববার) খ্রিস্টানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলসহ আটটি স্থানে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলা হয়। এরপরই বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা। যা শেষপর্যন্ত ৩৫৯ এ গিয়ে ঠেকে। পরে গণনায় ভুল হয়েছে বলে সে সংখ্যা ১০৬ জন কমিয়ে ২৫৩-তে এসে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

হামলার পর থেকে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে জঙ্গিদের খুঁজতে নামানো হয়েছে হাজার হাজার সেনা সদস্য।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক সন্দেহভাজন গ্রেফতার হয়েছেন। একইসঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

হামলার পেছনে স্থানীয় বিদ্রোহীগোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত ও জামায়াতিন মিল্লাতাহু ইব্রাহিম রয়েছে বলে জানিয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ।

তবে হামলার দুইদিনের মাথায় ২৩ এপ্রিল হামলাটির দায় স্বীকার করে আইএস। প্রমাণ হিসেবে হামলাকারীদের বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করে জঙ্গি সংগঠনটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।